কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের প্রথম দিনে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় সাত শতাধিক যানবাহনকে ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। ফলে ভোগান্তি বেড়েছে যাত্রী, যানবাহনের চালক ও সহকারীদের।
ফেরি স্বল্পতা, পদ্মায় তীব্র স্রোত ও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপের কারণে এই ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন ঘাট এলাকায় দেখা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৩০০ যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। এসব যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছে। এ ছাড়া ঘাট এলাকায় যানজট কমাতে দৌলতদিয়া থেকে ১৩.৫ কিলোমিটার দূরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে আহলাদিপুর জুট মিল পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৪০০ পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে, যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হবে।
ট্রাকচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রাত ১টার দিকে ফেরিঘাটে এলেও এখনো উঠতে পারিনি। লকডাউন ছুটে যাওয়ায় ট্রাকের সঙ্গে বাসও পারপার হচ্ছে। নদীতে স্রোত বেশি থাকায় ফেরি পারাপার হতে সময় লাগছে। এই নৌপথে ফেরি সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন (বাণিজ্য) বলেন, আজ থেকে আমাদের ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তাই ঘাট এলাকায় এসে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাট এলাকা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন বলেন, আমরা আগের ভাড়ায় যাত্রী পারাপার করছি। কোনো যাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। যাত্রীর চাপ সামাল দিতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৮টি লঞ্চ চলাচল করছে।