আজ রবিবার থেকে রফতানিমুখী শিল্প তথা পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে গত শনিবার সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়ের সৃষ্টি হয়। যা আজও অব্যাহত আছে। এদিকে সকাল থেকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী পরিবহন, পণ্যবাহী ট্রাক ও ব্যক্তিগত যানবানের তিন কিলোমিটার জুড়ে যানজট দেখা গেছে।
পাটুরিয়া ঘাট থেকে কোন ফেরি দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আসা মাত্রই তাতে উঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে অসংখ্য মানুষ। এ সময় ফেরিতে আসা যাত্রী ও যানবাহনগুলোর নিচে নামাই দুষ্কর হয়ে পড়ছে।
এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও কর্তৃপক্ষ ফেরির সংখ্যা বাড়িয়ে রুটের সবগুলো (১৬টি) ফেরিই চালু করেছে। সেই সাথে খুলে দেয়া হয়েছে সকল ফেরিঘাট (৫টি)।
সরেজমিন দেখা যায়, উভয়মুখী যাত্রীদের ভিড়ে সেখানে অস্বস্তিকর পরিস্হিতির সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্হ্যবিধি মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘাটে নিযুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা চালিয়েও কর্মমুখি জনতার চাপে তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থতায় পরিণত হয়েছে।
দৌলতদিয়া ঘাট ম্যানেজার জালাল উদ্দীন জানিয়েছেন, যাত্রীর চাপ অধিক যে কারণে এ রুটের ১৬টি ফেরি চালু করা হয়েছে। সকালে যাত্রীর চাপ একটু কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে চাপ অধিক হবে। ফলে যানবাহনের চেয়ে যাত্রী পারাপারে অধিক প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।
এদিকে, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। রবিবার (১ আগস্ট) সকাল থেকে ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী পরিবহন, পণ্যবাহী ট্রাক ও ব্যক্তিগত যানবানের তিন কিলোমিটার জুড়ে যানজট দেখা গেছে। অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, কাভাডভ্যানে ঘাটে আসছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীর চাপও বাড়ছে।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, গণপরিবহন চালুর পর থেকেই ঘাট এলাকায় চাপ রয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে চাপ বাড়ছে।