নগরীতে দাদা, পিতা এবং একাধিক চাচাকে হত্যার পর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ও একাধিক মামলার আসামি শাওনকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীদের গুলি ও বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর বয়রা বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
উক্ত ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও পুলিশ একজনকে আটক করেছে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি রিভলবার ও ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার পরপরই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
নগরীর ১৪নং ওয়ার্ড এর যুবলীগ নেতা সাঈদুর রহমান শাওন ওরফে ট্যাঙ্কি শাওন জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয় টার দিকে তিনি নগরীর বয়রাস্থ বন ভবনের বিপরীতে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় মুখোশ পড়া অবস্থায় সন্ত্রাসীরা দুটি মটরসাইকেলে এসে তাকে তিনটি গুলি করে। পরবর্তীতে বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।
এ সময় বয়রা বাজার মোড়ে ট্রাফিকের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রেক্সোনা বয়রা মোড়ের পুলিশকে ওয়ারল্যাসে ইনফর্ম করে এলার্ট করলে বয়রা মোড় থেকে পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
হামলার কারণ হিসেবে শাওনের চাচা বলেন, শাওনের বাবা, দাদা ও একাধিক চাচাকে হত্যা করা হয়েছে। সেই ঘটনার ধারাবাহিকতায় শাওনের ওপর হামলা করা হতে পারে। এর আগেও শাওনকে দুই বার হত্যার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে বয়রা কলেজ মোড় থেকে আটক করে। সে এখন খুলনা মেডিকেল কলেজের প্রিজনসেলে আছে চিকিৎসকরা জানান তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আটককৃত ব্যাক্তির নিকট থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভুগী যুবলীগ নেতা সাঈদুর রহমান শাওন এর বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি নগরীর বয়রা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। ১৯৮৫ সালে শাওনের চাচা শেখ জাহাঙ্গীরকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ১৯৮৭ সালে তার আর চাচা হুমায়ূন শেখকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এরপর ১৯৯৮ সালে শাওনের বাবা শেখ শাহাজাহানকে হত্যা করা হয়। ১৯৯৯ সালে শাওনের দাদা শেখ হাতেম আলীকে ও ২০০১ সালে শাওনের আর এক চাচা শেখ বাবরকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
সর্বশেষ ২০১৫ ও ২০১৭ সালে শাওনের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হলেও প্রাণে বেঁচে যান।
উল্লেখ্য, নগরীর ছোট বয়রা এলাকায় এক ছেলেকে হত্যা করে সেফটি ট্যাংকিতে লুকিয়ে রাখার ঘটনায় আলোচনায় আসেন যুবলীগ নেতা সাঈদুর রহমান শাওন। এ কারণে তিনি ট্যাঙ্কি শাওন নামেও পরিচিত।