চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃইটভাটা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫৫ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণার মামলায় কালাম খান (৫৫) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গতকাল শনিবার বিকেলে আড়ংঘাটা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ঝালকাঠি জেরার নলসিটি উপজেলার কৃষ্ণকাঠি গ্রামের মৃত মালেক খানের ছেলে। এছাড়া কালাম খান রেলওয়ে পানির ট্যাংকি সংলগ্ন মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজের মালিক।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, বাদীর ইটভাটায় জ্বালানী কয়লা দেয়ার নামে ৫৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপন করে আসামি কালাম খান। এ ঘটনায় গত ২২ ফেব্র“য়ারি বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার ইটভাটা ব্যবসায়ী মোঃ খালেক নগরীর সদর থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন (নং-৫৩)। গতকাল শনিবার বিকেলে আসামি কালাম খানকে গ্রেফতার করে সিআইডির চেীকস অফিসার এসআই মধুসুদন বর্মন।
উল্লেখ, দির্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন জেলার ইটভাটা মালিকদের কয়লা সরবরাহের জন্য বিপুল পরিমান টাকা নিয়ে সময়মত কয়লা সরবরাহ না করে প্রতারনা করে আসছে কালান খাঁন চক্র । তিনি ভোলা,বরিশাল,পিরোজপুর,পটুয়াখালী,মাদারীপুর,কাউখালী,ভান্ডারিয়াসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে তার দালাল পাঠিয়ে ভাটা মালিকদের সঙ্গে কয়লা দেয়ার চুক্তি করে । চুক্তি অনুযায়ী প্রত্যেক ইটভাটা মালিকদের অগ্রিম চেক গ্যারান্টি দিয়ে কয়লার মুল্যের অর্ধেক আগে গ্রহন করে । কিন্ত কয়লা সরবরাহের সময় বিভিন্ন রকম তালবাহানা এবং জাহাজ লোড দেখিয়ে আরো আরো টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা হন । এভাবে কালামের রয়েছে ৫সদস্যেও একটি কয়লা প্রতারনা চক্র । আর এই প্রতারনা চক্রের মুল হোতা কালাম খাঁন । পাওনাদাররা টাকার চাপ দিলে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা,পুলিশ কর্মকর্তা,স্থানীয় প্রভাবশালী ক্যাডারদের ব্যাবহার করে তাদের হুমকি দিতেন । এভাবে কালামের প্রতারনায় নিঃশ হয়েছেন অনেক ইটভাটা মালিক । সময়মত কয়লা না পেয়ে কোন কোন বছরে প্রতিষ্ঠিত ইটভাটা মালিকদের ইট উৎপাদন বন্ধ হয়েছে এই কালামের খপ্পরে পড়ে । দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় শতাধিক ব্যাবসায়ীর কাছ থেকেে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা অবশেষে বরগুনা জেলার বামনার ইটভাটা মালিক আঃ খালেক কাছ থেকে ৫৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হন । এই ঘটনায় গত ২২ ফেব্রæয়ারী খুলনা সদর থানায় কয়লা সরবরাহের প্রতারক চক্রের মুল হোতা কালাম খাঁন এর বিরুদ্ধে একটি প্রতারনা মামলা করেন । মামলাটি সিআইডির চেীকস অফিসার মধুসুদন বর্মন তদন্ত করেন । অনেক দিন ধরে খোজা খুজি করেও প্রতারক কালামের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি । অবশেষে শনিবার আড়ংঘাটা এলাকা থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্মা প্রতারক কালামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন ।
প্রতারক কালাম খাঁনের গ্রেফতারের সংবাদ শুনে বিভিন্ন এলাকে থেকে আমাদের অফিসে যোগাযোগ করতে থাকে কালামের দ্বারা প্রতারনার স্বীকার ব্যাক্তিরা । তারা চেক জালিয়াতি ও প্রতারনা মামলার প্রস্ততি নিচ্ছেন ।