নগরীর হাজী ফয়েজ উদ্দিন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে সম্প্রতি অবৈধ পন্থায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষিকা দীপ্তি রানী দে। এনিয়ে আদালতেরও শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি।
অভিযোগে জানা যায়, উক্ত বিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পত্তিতে প্রচুর দোকান ভাড়া রয়েছে। যা থেকে প্রতিমাসে বিদ্যালয়ের আয় আসে। যে কারণে এ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য হতে আগ্রহী হন এলাকাবাসী।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা নানাবিধ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তারা সরকারি নিয়মকে উপেক্ষা করে নিজেদের স্বার্থে বিদ্যালয়কে ব্যবহার করে অনৈতিক সুবিধা আদায়ে ব্যস্ত থাকেন।
এসবের ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়েযরই শিক্ষক অনুপ কুমার বৈরাগীর কাছ থেকে ১২ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে তাকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এ কাজে কোতোয়ালি থানা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন তাদের সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সাবেক প্রধান শিক্ষিকা দীপ্তি রানী দের মামলার বিবরণে জানা যায়, দীপ্তি রানী দে অবসরে যাওয়ার পর আবারো তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পরিচালনা পর্ষদের কাছে আবেদন করেন।
পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শেখ আবিদ উল্লাহ-সহ অন্য সদস্যরা এ ব্যাপারে তাকে আশ্বস্তও করেন। কিন্তু তারা ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অনুপ কুমার বৈরাগীর কাছ থেকে ১২ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে তাকে প্রধান শিক্ষক করার সকল কার্যক্রম এগিয়ে নেন।
এ ব্যাপারে অনুপ কুমার বৈরাগীর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন।
পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শেখ আবিদ উল্লাহ’র সাথে যোগাযোগ করা হলে ব্যস্ততার অজুহাতে তিনি এবিষয়ে কথা বলতে এড়িয়ে যান। পর্ষদের অন্য সদস্যরা বিষয়টি অবগত থাকলেও গণমাধ্যমের সামনে তারা কথা বলতে চাননি।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মোমেনের সাথে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।