চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃরাজতন্ত্রের প্রতি আনুগত্যহীনতা এবং অসদাচরণের অভিযোগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডের রাজা ভাজিরালংকর্ণ নিজের রাজকীয় সঙ্গী সিনেনাত ওংভাজিরাপাকদির পদবী-মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সোমবার (২১ অক্টোবর) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সিনেনাত নিজেকে একজন রানির সমকক্ষ হিসেবে ভাবতে শুরু করেছিলেন। এমনকি তিনি অতি উচ্চাভিলাষীও হয়ে উঠেছিলেন। তাই তার বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপটি নেওয়া হচ্ছে।’
বিশ্লেষকদের মতে, থাই রাজার রাজকীয় এই সঙ্গীর আচরণ বর্তমানে সম্পূর্ণ অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। রাজা ভাজিরালংকর্ণ চতুর্থ রানি হিসেবে সুথিদাকে বিয়ের মাত্র দুই মাসের মাথায় চলতি বছরের জুলাইয়ে মেজর জেনারেল সিনেনাতকে রাজসঙ্গীর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এ দিকে সূত্রের বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর দাবি, সিনেনাত ওংভাজিরাপাকদি ছিলেন একজন মেজর জেনারেল, পাইলট এবং নার্স, এমনকি একজন সুপ্রশিক্ষিত দেহরক্ষীও। বিগত শতাব্দীর মধ্যে তিনিই হচ্ছেন একমাত্র রাজকীয় সঙ্গীর খেতাবপ্রাপ্ত নারী।
অপর দিকে রাজা ভাজিরালংকর্ণের দীর্ঘদিনের সহযোগী ছিলেন ৪১ বছর বয়সী রানি সুথিদা। যাকে বহু বছর যাবত রাজার সঙ্গে বারংবার জনসম্মুখেও দেখা গেছে। রাজা হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিষেকের মাত্র তিন দিন আগে রানি সুথিদাকে বিয়ে করেছিলেন ভাজিরালংকর্ণ। সে সময় রাজকীয় এক ফরমানের মাধ্যমে রাজার নতুন বিয়ের কথা ঘোষণা করা হয়।
এর আগে টানা ৭০ বছর থাইল্যান্ডের সিংহাসনে আসীন থাকার পর অবশেষে ২০১৬ সালের অক্টোবরে রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজ মৃত্যুবরণ করেন। মূলত এরপর সাংবিধানিকভাবে রাজা হিসেবে নির্বাচিত হন তারই জ্যেষ্ঠ পুত্র ভাজিরালংকর্ণ।
ক্ষমতা গ্রহণের পর ৬৬ বছর বয়সী ভাজিরালংকর্ণ দেশটির দশম রামা উপাধি গ্রহণ করেন। যদিও ২০১৪ সালে রাজা ভাজিরালংকর্ণ নিজের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসেবে সুথিদা তিদজাইকে তার বাহিনীতে নিয়োগ দেন। এর আগে তিদজাই থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পরবর্তীকালে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে রাজা ভাজিরালংকর্ণ আচমকা সুথিদাকে রাজকীয় থাই সেনাবাহিনীর পূর্ণ জেনারেল র্যাঙ্ক প্রদান করেন। এমনকি পরের বছর তার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার হিসেবেও তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।