চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ ফিঙ্গার প্রিন্ট না মিলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে পারেনি ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনের ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস গার্লস স্কুলে এক ঘণ্টারও বেশি সময় অবস্থান করে ভোট দিতে না পেরে তিনি ফিরে যান।
এর আগে শনিবার (২১ মার্চ) সকাল ১০টায় কলাবাগানের লেক সার্কাস গার্লস স্কুলে ভোট দিতে যান মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। সকাল ১০ থেকে সকাল ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত তিনি ভোট কেন্দ্রে অবস্থান বারবার চেষ্টা করেও ভোট দিতে পারেননি। ভোট দিতে না পারায় পরে তিনি কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যান।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংবাদিকদের বলেন, ‘টেকনিক্যাল কারণে আমি ভোট দিতে পারিনি। পরে আবার ভোট দেব। তবে পরে কখন ভোট দেবেন তা নিশ্চিত করেননি।’
কেন্দ্র সূত্র জানায়, প্রথমে ভোটার তালিকা অনুযাযী ভোট কেন্দ্রে মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের তালিকা দেখে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এরপর ভোট দিতে গেলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। পরে প্রার্থীর গাড়িতে রাখা ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আসা হয়। কিন্তু এতেও কাজ হয়নি। তখন ইভিএম মেশিন অফ করে পুনরায় চালু করা হয়। পাশাপাশি নির্বাচনী কর্মকর্তারা বাববার চেষ্টা করতে থাকেন।একাধিকবার টিস্যু দিয়ে প্রার্থীর আঙুল মুছে ম্যাচ করানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোনোভাবেই কাজ হচ্ছিল না। পরে অন্য একটি ইভিএম মেশিনের মাধ্যমেও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। পরে বাধ্য হয়ে তিনি ভোট না দিয়েই চলে যান।
এ বিষয়ে ঢাকা-১০ এর রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাহাতাব উদ্দিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন অন্য এলাকা থেকে স্থানান্তরিত হয়ে সম্প্রতি এখানে ভোটার হয়েছেন। তাই ফিঙ্গার প্রিন্টে কিছুটা জটিলতা দেখা দেয়।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, জটিলতার সমাধান হয়েছে। ওই প্রার্থী এসে যে কোনো সময় ভোট দিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা-১০ আসন গঠিত। এই আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ১২ হাজার ২৮১জন।নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১১৭ টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ৭৭৬ জন।এই নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এরা হলেন, আওয়ামীলীগ থেকে মো. শফিউল ইসলাম, বিএনপি থেকে শেখ রবিউল আলম, জাতীয় পার্টি থেকে হাজী মো. শাহজাহান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল থেকে কাজী মুহাম্মদ আবদুর রহিম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ থেকে নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে মো. মিজানুর রহমান।