নিয়ম না মেনে বয়লার চালালে দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে সংসদে ‘বয়লার বিল-২০২১’ পাস হয়েছে।
আজ রবিবার (৩ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন।
গত বছরের ১৪ নভেম্বর বিলটি সংসদে তোলা হয়। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
ঔপনিবেশিক আমলে প্রণীত শিল্প কারখানার বয়লার সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন করে এ আইন প্রণয়ন করা হয়।
বিলে বলা হয়েছে, শিল্প কারখানায় বয়লার দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে নতুন এ আইন করা হচ্ছে। বয়লারের গা থেকে নিবন্ধন নম্বর অপসারণ, পরিবর্তন, বিকৃত বা অদৃশ্য করে অন্য বয়লার ব্যবহার করলে দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে সেখানে।
সনদ ছাড়া বয়লার চালালে সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল বা দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে বিলে। বিদ্যমান আইনে এ অপরাধে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
নিয়মের বাইরে কেউ বয়লার তৈরি বা আমদানি করলে দুই বছরের জেল ও দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আর নিয়মের বাইরে গিয়ে বয়লার ব্যবহার করলে বা কাউকে ব্যবহারের অনুমতি দিলে সর্বোচ্চ দ্ইু বছরের জেল এবং দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার জন্য বয়লার ব্যবহারকারী, পরিচালনাকারী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি ওই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী হবেন। দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ দায়ী ব্যক্তির কাছ থেকে আদায় করা হবে। তবে দুর্ঘটনা রোধে কেউ যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা নিয়েছেন- এমন প্রমাণ করতে পারলে তিনি দায়ী হবেন না।
আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য প্রধান বয়লার পরিদর্শক এবং বয়লার পরিদর্শক থাকবেন।
আর সার্বিক তত্ত্বাবধানে একটি বয়লার বোর্ড থাকবে, সেখানে একজন চেয়ারম্যান এবং সাত জন সদস্য থাকবেন। সদস্যদের মেয়াদ হবে তিন বছর।
বিলে বলা আছে, বয়লার মেরামত করতে হলে প্রধান বয়লার পরিদর্শককে লিখিতভাবে জানাতে হবে। না জানিয়ে মেরামত করা হলে এক বছরের জেল বা এক লাখ টাকা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।