চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ ভারত সফর শেষে নেপাল সফরে গিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এই সফরে নেপালের উন্নয়নে ৪৯২ মিলিয়ন ডলার (প্রায় চার হাজার ২০০ কোটি টাকা) দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শি জিনপিং। বিভিন্ন বিষয়ে নেপালের সঙ্গে ২০টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে চীন।
বর্তমানে নেপালে ক্ষমতায় রয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি। গত ২৩ বছরের মধ্যে এটা নেপালে কোনো চীনা প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর। শেষবার ১৯৯৬ সালে ঝিয়াং জেমিন কাঠমান্ডু সফর করেছিলেন।
কূটনৈতিক মহলের জল্পনা, দক্ষিণ এশিয়ায় যে কয়টি দেশের ওপর ভারতের প্রভাব রয়েছে তার একটি হল নেপাল। সেই প্রভাব ভাঙতেই ২০১৫ সাল থেকে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বেইজিং। তারই ধারাবাহিকতায় নেপালের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নে এই বিপুল বিনিয়োগ নিয়ে জিনপিং হাজির হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
৪৯২ মিলিয়ন ডলার দেয়ার পাশাপাশি জিনপিং কাঠমান্ডুকে তাতোপানি ট্রানজিট পয়েন্টের সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী আরনিকো হাইওয়ে নতুন করে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন- যা ২০১৫ সালের ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পের পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
চীনা রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, হিমালয় অঞ্চলের মধ্য দিয়ে নেপাল ও চীনের ট্রেন চলাচল খুব শিগগিরি শুরু হবে। আর এ ব্যাপারে চীন নেপালকে বিশেষ সহায়তা করবে। আমাদের বন্ধুত্ব বিশ্বের কাছে বন্ধুত্বের মডেল। আমাদের দুই দেশের মধ্যে কোন সমস্যা নেই।
উল্লেখ্য, এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর ও বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল দেশ হল ভারত ও চীন। তাদের মাঝখানে চরম ভৌগোলিক কূটনৈতিক অবস্থান নিয়ে রয়েছে নেপাল। কূটনীতির চালে নেপাল যেদিকেই বেশি ঝুঁকবে তার কড়া ফল পাবে অন্য পক্ষ। তাই চীন ও ভারত উভয়েই নেপালকে নিজেদের প্রভাবের মধ্যে রাখতে চেষ্টা করে।