জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ সময় পুলিশসহ কয়েকজন আহত হন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। রোববার সন্ধ্যার পর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে আটক করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহ উদ্দিন মিয়া বলেন, মজনুসহ ১৩-১৪ জনকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, রাজধানীর রুপনগর থানায় ছাত্রদলের কর্মী সভায় স্থানীয় ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও পুলিশ হামলা করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নাইটিংগেল মোড়ের কাছে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় ছাত্রদলের ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আটক করা হয়েছে কয়েকজনকে।
মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আব্দুল আহাদ জানান, বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। ইতোমধ্যে রফিকুল আলম মজনুসহ ১০/১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ বলেন, ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম মজনুসহ ২০ থেকে ২৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।