স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল সেতুতে রেলপথে কংক্রিটের স্ল্যাব বসানো শেষ। কিছু দিনের মধ্যে সেতুতে রেললাইন লাগানোর কাজ চলবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০২২ সালের জুনের মধ্যে সেতু চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেওয়ান মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, সেতুতে রেলপথের স্ল্যাব বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মূল সেতুতে রেলপথ এবং সেতুর দুই প্রান্তে ৫শ’ ৩২ মিটার উড়ালপথ তৈরি করছে সেতু বিভাগ।
দ্বিতল পদ্মা সেতুর নিচতলায় চলবে ট্রেন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটিতে সব মিলিয়ে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, পদ্মা সেতুতে রেলওয়ে স্ল্যাব সমানো শেষ হয়েছে এখন রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হবে। উন্নত প্রযুক্তির পাথরবিহীন রেলপথ দিয়ে পদ্মা সেতু পারাপার হবে ট্রেন। সিঙ্গেল লাইনের রেলপথটিতে মিটার গেজ ও ব্রড গেজ থাকবে। সেখানে দুই ধরনের ট্রেন চলাচলেরই ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকায় সেতু ও এর দুই প্রান্ত রেললাইন বসানোর দায়িত্ব রেলপথ মন্ত্রণালয়ের। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত। পুরো প্রকল্পের কাজ তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ। এর মধ্যে সেতু উদ্বোধনের দিন মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চালুর অগ্রাধিকার ঠিক করেছে রেলওয়ে। এই অংশের দূরত্ব ৪২ কিলোমিটার, কাজ এগিয়েছে ৭৭ শতাংশ। সেতুর দুই প্রান্তে রেললাইন বসালেও সেতু চালুর প্রথম দিন ট্রেন চালানো কঠিন হবে।