খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলায় শোভনা পশ্চিমপাড়া একটি ব্রিজে পরিবর্তনের ছোঁয়ায় বদলে গেছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার অবহেলিত শোভনাসহ ৬গ্রামের চিত্র। যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সুপেয় পানি ব্যবস্থাপনা, মসজিদ-মন্দির, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎসহ সকল সেক্টরে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে।
জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত শোভনা ইউনিয়নের, শোভনা গ্রাম। এই শোভনা পশ্চিমপাড়ার ব্রিজটি হলে এলাকায় বিপুল পরিমাণ উন্নয়নের ছোয়া লাগবে।
শোভনা ব্রিজ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোহাঃ রবিউল ইসলাম জানান, ৯ কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। এই ব্রিজের কাজ শেষ হলে এলাকার ৬ গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে যেমন শোভনা,খর্নিয়া, পাচপোতা,পশ্চিম শোভনা , বামুন্দিয়া ,সহ আরো অন্যান্য গ্রামের স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও প্রান্তিক কৃষকসহ সকলস্তরের জনসাধারণের উন্নয়নের ভূমিকা পালন করবে।
এই ব্রিজের সম্পর্কে ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন জানান, নদী বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এই এলাকায় ধান পাট, শাক-সবজি ফলমূল সহ ৬/৭ গ্রাম মিলে প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষের বসবাস। শহর থেকে এলাকাটি দূরে হওয়ায় এখন পর্যন্ত উন্নয়নের তেমন কোন ছোয়া পড়েনি এখানে। চলাচলের ভালো কোন ব্রীজ না থাকায় এলাকার মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এখানকার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম ছিলো নৌকা। নৌকা যোগে তারা গ্রামের এবাড়ি ও বাড়ি বা শহরে যাওয়া আসা করতো। রাস্তাঘাট যা একটু আধটু ছিলো তা বর্ষাকালে হাটু কাঁদা হয়ে যেতো। ফলে শহরের সাথে শোভনা এলাকার মানুষের যোগাযোগ একেবারই কম ছিলো। সেই সময় অনেক অসুস্থ রোগীকে অকালে প্রাণ হারাতেও হয়েছে চিকিৎসার অভাবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে এক সময়শোভনা মানুষ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি তা বদলে গেছে। প্রায় ৯কোটি টাকার ব্রীজ উন্নয়নমূলক কাজ শোভনা বাস্তবায়নের পথে।
শোভনা ইউপি চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত বৈদ্য বলেন, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সুফল পুরোপুরিভাবেই পাচ্ছেন শোভনা ইউনিয়ন বাসীএ উন্নয়ন কর্মকান্ড সুসম্পন্ন করতে প্রত্যক্ষভাবে সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ যেভাবে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেছেন তাতে শোভনা ইউনিয়নের শোভনা ৬/৭গ্রামের মানুষ তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ হয়ে থাকবে। এমপি’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শহরের সাথে প্রত্যন্ত এই অঞ্চলটির সেতু বন্ধন হতে শোভনা- নদীর উপর ৯ কোটি টাকায় ৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রীজ নির্মাণ প্রায় শেষের পথে। আগামী বছর জুনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে। এটা হলে দুই জেলা শহর তথা খুলনা মানুষ ডুমুরিয়া ভায়া হয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়ন শোভনা আর অবহেলিত নেই। সরকারের সারাদেশের উন্নয়নের ছোয়া শোভনাতেও পৌঁছে গেছে। একটা সময় সেখানে রাস্তাঘাটসহ উন্নয়নমুলক কিছুই ছিলো না। এখন প্রধামনন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আমরা শোভনা খর্নিয়া সহ ডুমুরিয়া উপজেলার প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন করতে পেরেছি। শোভনা আর ডাউন নয়, এখন টাউনে পরিণত হয়েছে। শোভনা পশ্চিমপাড়াব্রীজ চালু হলে মানুষ খুব সহজেই খুলনা শহরে পৌঁছাতে পারবে। এতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় দুটোই হবে।