প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে একটা বছর নষ্ট হয়ে যাক, এটা আমরা চাইনি। ফেব্রুয়ারিতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভালো হলে মার্চ-এপ্রিলে সীমিত আকারে স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা আছে। গত বছর মার্চে এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়েছিলো। সেজন্য এবার আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
শনিবার সকালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২০ এর ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পড়ে এমনভাবে ফলাফল ঘোষণা করতে হলো। শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ফল নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীরা তো আগে পরীক্ষা দিয়েছে। এ ফলাফল নিয়ে তিক্ততা সৃষ্টি করা ঠিক না। শিক্ষার্থীরা যাতে হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ ফলাফল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করা যাবে না। এতে তাদের ওপর মানসিক চাপ পড়বে। যারা এটা করছেন তাদের এসব মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি। এমনিতেই শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা খারাপ। তারা স্কুল কলেজে যেতে পারছে না। সারা বিশ্বে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে শিক্ষা অব্যাহত রাখতে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন অনলাইনে পাঠদানের সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যেন এসব পাঠদান কার্যক্রম গ্রহণ করে। স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিবেচনা করেই এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সংক্রমিত হলে দায়িত্ব কে নেবে? তাই সমালোচনা বন্ধ করুন। খুঁত বের করাই কারও কারও কাজ।
ভ্যাকসিন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। ভ্যাকসিনের জন্য মানসিকভাবে তৈরি থাকবেন। আপনারা আরেকটু কষ্ট করেন। ছেলেমেয়েরা যেন পড়াশোনায় মনোযোগী হয় সেদিকে নজর রাখুন।