পাইকগাছায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে পুলিশ বিভিন্ন জেলা থেকে আটক করেছে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার দুপুরে ওসির কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে আটক ডাকাতদের ব্যাপারে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন ওসি এজাজ শফী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ১৪ ডিসেম্বার রাত দেড়টায় উপজেলার গদাইপুর কার্তিকের মোড়ে কিং ফিশার পরিবহন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। এ অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার সহ সাত লক্ষ টাকার মালামাল লুন্ঠন করে। এ ব্যাপারে পরিবহনের সুপারভাইজার আছাফুর রহমান বাদী হয় পাইকগাছা থানায় ১৫ ডিসেম্বর ৪জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে।পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ এজাজ শফি’র দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ ক্রমে এস আই অনিষ মন্ডল, এ এস আই নাসির উদ্দীন এ এস আই রোকনুজামান সহ সঙ্গীয় ফোর্স তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ সোমবার উপজেলা গোপালপুর গ্রামের মিজানুর গাজীর ছেলে সাইদুল গাজী (২১), রাড়ুলী গ্রামের মৃত হাকিম গাজীর ছেলে ইমরান গাজী (২১) কে মাদারীপুর সদর থানার একটি ইট ভাটা থেকে আটক করে। তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী থানা পুলিশের বিশেষ টিম একই দিন বিকেলে বিভিন্ন সময় রাড়ুলীর মকবুল গাজীর ছেলে বাপ্পি গাজী (২১) কে ষষ্ঠি তলা বাজার, গোপালপুর গ্রামের মৃত আকছেদ গাজীর ছেলে মেহেদী হাসান (২১) কে পিচের মাথা ও গদাইপুর গ্রামের তাছের মোড়লের ছেলে আল-আমিন (৩৫) কে পাইকগাছা বাজার থেকে আটক করে এবং ফতেপুর গ্রামের খলিল গাজীর ছেলে তাকবির হোসেন (২৩) কে থানার পার্শে ওয়াপদার রাস্তা থেকে আটক করে। ধৃত আসামী আল-আমিনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জুনায়েদুর রহমান, ইউপি সদস্য শেখ জাকির হোসেন লিটন ও জবেদ আলী গাজীকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে গেলেও তার আগেই অস্ত্রগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে ওসি এজাজ শফী জানান। ওসি এজাজ শফি সাংবাদিক সম্মেলনে আরো বলেন, ধৃত ডাকাত দলের বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানাসহ বিভিন্ন থানায় বিস্ফোরক, অস্ত্র, চুরি ও দশ্যুুতার মামলা রয়েছে। আটককৃত ডাকাতদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।