পাইকগাছায় উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনের (চেয়ারম্যান পদ) রেশ কাঁটতে না কাঁটতেই পাইকগাছা পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র পদপ্রার্থীরা। চলছে লবিং গ্রুপিং। কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা নেতাদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন এসব নেতারা।
সব ঠিক থাকলে আগামি ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে পাইকগাছা পৌরসভার নির্বাচন।সে অনুযায়ী চলতি মাসের যে কোন দিন হতে পারে নির্বাচনী তফসিল। নির্বাচনে দলীয় প্রতিক পেতে নেতাদের ব্যস্ততা বেড়েছে বহুগুন। কেউ কেউ ছুটে চলছে এক নেতা থেকে অন্য নেতার দ্বারে দ্বারে। আবার এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে স্বদলবলে জোগ দিয়ে নিজের অবস্থান জানান দিতে দেখা যাচ্ছে।
আওয়ামীলীগের তিন নেতাকে দেখা যাচ্ছে মনোনয়ন দৌড়ে। কে পাবেন সেই সোনার হরিণ নামক দলীয় প্রতিক “নৌকা”। চলছে জল্পনাকল্পনা কার হাতে উঠছে সেই নৌকা। আ’লীগের তিন নেতার মধ্যে আছেন পরপর দু’বারের মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, অপারদিকে আছেন উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ সদস্য,দুবারের সাবেক পৌর কাউন্সিলর শেখ কামরুল হাসান টিপু। এবার কি পারবে দু’ভাইয়ের কেউ মনোনয়ন ছিনিয়ে নিতে। ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে শেখ কামরুল হাসান টিপু ও শেখ আনিসুর রহমান মুক্ত মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চাইলেও দল সেলিম জাহাঙ্গীরকে মনোনয় দেন। দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনী মাঠ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেন দু’সহদর।
দু’বারের পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, আমি আশাবাদী দল আবারো আমাকে মুল্যায়ন করবে। আমি সরকারের পক্ষে দীর্ঘদিন পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ করছি। অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ শেষ করার সুযোগ পাবো বলে আমি বিশ্বাস করি।
পাইকগাছা পৌর নির্বাচনের বিষয়ে শেখ কামরুল হাসান টিপু বলেন, দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে আমি শতভাগ আসাবাদী। দল এবার আমাকে মুল্যায়ন করবে বলে বিশ্বাস করি।
শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত বলেন, আমি ১৯৮৮ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দীর্ঘদিন ধরে দল করছি এবং তিনবার ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। আমি মনে করি দল এবার আমাকে দলীয় প্রতিক নৌকার মনোনয়ন দিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করার সুযোগ দিবে।
কে পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন? সেই প্রতিক্ষায় প্রহর গুনছে দলীয় নেতা-কর্মিরা।