খুলনার পাইকগাছায় রেকর্ডিয় সম্পত্তি খাস জমি বলে ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে গত বুধবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে পাইকগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমী) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম এসে খাস জমি বলে উচ্ছেদ অভিযান চালান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পাইকগাছা ভূমী অফিসের প্রধান সহকারী মোঃ আব্দুল বারী,নায়েব সিরাজুল, স্থানীয় প্রভাবশালী অমর রঞ্জন মন্ডল সহ তার কিছু লোকজন। ভূক্তভোগী আকরাম আলী বলেন,২০১৭ সালের শেষ দিকে তিনি স্থানীয় সন্যাসী কুমারের কাছ থেকে সাড়ে ৫ শতক জমি ক্রয় করেন। তার পর থেকেই স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মনোরঞ্জন মন্ডলের ছেলে অমর রঞ্জন মন্ডল (৬০) নানান ভাবে জমি থেকে উচ্ছেদ করার পায়তারা চালিয়ে আসে।কোন অবস্থায় না পেরে এসিল্যান্ড এর সাথে আতাত করে রেকর্ডিয় সম্পত্তি-কে খাস বলে উচ্ছেদ করে। এসিল্যান্ডের সামনেই অমর রঞ্জন মন্ডলের ভাড়া করা গুন্ডারা ভাংচুর চালায়।আর ভাড়া করা গুন্ডারা হল,বাবু মান্না,কবীর,খোকন,ও সাহেব আলী সরদারের ছেলে আফসার সরদার। শুধু ভাংচুর না, ভাংচুরের পাশাপাশি চা দোকান থেকে মালামাল লুট ও করে নেই। এব্যাপারে ভুক্তভোগী শেখ আকরাম আলী এসিল্যান্ড কে ফোন দিলে হুমকি প্রদর্শন করে বলে অভিযোগ দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তারা এযাবৎ কাল এই জমি রেকর্ডিয় বলে জানেন।কিন্তু হঠাৎ করে রেকর্ডিয় জমি কিভাবে খাস জমি হয়ে যায় এটা নিয়ে তারা দ্বিধা দন্দে রয়েছেন।তাছাড়া যে স্থানের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে তার আশে পাশে অনেক স্থাপনা সরকারী জায়গায় থাকা সত্তেও উচ্ছেদ না করে রেকর্ডিয় সম্পত্তিকে খাস বলে উচ্ছেদ করাটাকে এলাকাবাসী ভিন্ন ভাবেই দেখছেন। সেখানকার মন্দির কমিটির সভাপতি বলেন, এই জমি রেকর্ডিয় সম্পত্তি, আর এটাই বাস্তব।এসিল্যান্ড সরকারী জমিতে স্থাপনা রেখে শুধু এই জমিতেই নজর দিলেন এটা অবশ্যই সন্দেহের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা বলেন,একজন সরকারী কর্মকর্তা সরকারী দায়িত্ব পালন করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সে কোন ব্যক্তির পক্ষ নিয়ে কখনো অনৈতিক কাজ করতে পারেনা।আর যে কাজ সম্পাদিত হয়েছে তাতে ষ্পষ্ঠ তিনি সরকারী নই,ব্যক্তি চাকরী করতে আসছে।তার সামনেই গুন্ডারা ভাংচুর চালিয়েছে।
তিনি আরো বলেন,অমর রঞ্জন মন্ডল বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিক। একজন ব্যক্তি কিভাবে দুই দেশের নাগরিক হয়। তাছাড়া ভারতে তার দুই তলা বাড়ি রয়েছে।এখানকার মানুষের জমি পায়তারা করে ছিনিয়ে বিক্রি করে সেই অর্থ পাচার করে ভারতে। আমরা এই ব্যক্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে চাই। অভিযোগের ভিত্তিতে অমর রঞ্জন মন্ডলের সাথে কথা হলে তিনি সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক বলে দাবী করেন।এবং বলেন,আমি শুধুমাত্র বাংলাদেশের নাগরিক। তাছাড়া ভারতে আমার নিজস্ব কোন বাড়ি নেই।আমার ছেলে সেখানে পড়া লেখা করে ভাড়া বাসায় থেকে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমী) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম এর সাথে কথা বলার জন্যতার ব্যবহৃত সরকারী নাম্বারে ফোন দিলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এদিকে ভূক্তভোগী শেখ আকরাম আলী উক্ত ঘটনার সুস্থ সমাধান চেয়ে বলেন,অমর রঞ্জন মন্ডল কোটি টাকার মালিক।যার কারণে কোথাও গিয়ে কোন প্রকার লাভ হয়নি।এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি এবিষয়ে নজর দেন তবে সঠিক বিচার পাবো।