মারণব্যাধিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পাকস্থলী ক্যান্সার। পাকস্থলীর ক্যান্সার খুবই মারাত্মক একটি রোগ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিলে জটিলতা এড়ানো যায়।
প্রথমে এই রোগের তেমন কোনো উপসর্গ দেয়া যায় না। এ জন্য এই রোগ প্রতিরোধে উপসর্গগুলোর বিষয়ে ধারণা থাকা প্রয়োজন। এ ছাড়া এই রোগ পুরোপুরিভাবে প্রতিরোধ করা না গেলেও এর ঝুঁকির কারণগুলো জানা থাকলে আমরা সচেতন হতে পারি।
পাকস্থলী ক্যান্সারের কেন হয়
পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। তবে অন্যতম হচ্ছে– খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনে অনিয়ম, রাসায়ানিকমুক্ত তাজা ফল ও শাকসবজি কম খাওয়া, প্রসেসড ফুড, সল্টেড ফুড, স্মোকড মিট বা পিকল্ড ফুড বেশি খাওয়া।
কারও হেলিকো ব্যাকটর পাইলোরি ইনফেকশন, নাইট্রাইডস কিংবা ফ্যামিলিয়াল পলিপসিস বা লিঞ্চ সিন্ড্রোম হলে সে ক্ষেত্রে তার পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।
এ ছাড়া ধূমপান ও মদ্যপান করলেও এর ঝুঁকি বেড়ে যায়। আবার শরীরে অতিরিক্ত মেদ হলেও এই ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
পাকস্থলী ক্যান্সারের উপসর্গ
সাধারণত পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। আর যদিও কোনো উপসর্গ থাকে, তা সাধারণত কয়েকটি উপসর্গের মতোই।
হজমে সমস্যা, অ্যাসিডিটি, ওজন কমে যাওয়া, ক্ষুধা মন্দা, গলা জ্বলা, বমি বমি ভাব, মলের রঙ কালো হওয়া ও পেটে ব্যথা হচ্ছে এই রোগের উপসর্গ।
এ ছাড়া অ্যাডভান্সড স্টেজে যেসব উপসর্গ দেখা দেয়, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়া। আর তখন ক্যান্সার শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে যেতে পারে। অনেক সময় পাকস্থলীর ক্যান্সার লিভার, ফুসফুস ও মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে।
কী করবেন
শরীরে এসব উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখক: ডা. উত্তম কুমার দাস, কার্ডিওলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল।