পুলিশের বাঁধার কারণে তেরখাদা থানা বিএনপি আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান পন্ড হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও থানা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মরহুম মোস্তাইন বিল্লাহ স্মরণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। পুলিশের তীব্র বাঁধা ও হুমকির মুখে সংক্ষিপ্ত দোয়ার মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত করেন বিএনপি নেতারা। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা মহানগর শাখার আহবায়ক শফিকুল আলম মনা জানান, বাদ আসর তেরখাদা থানার ইখড়ি কাটেঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে দলের প্রয়াত নেতা মোস্তাইন বিল্লাহর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা, দোয়া মাহফিল ও কবর জিয়ারতের কথা ছিল। সে অনুযায়ী খুলনা থেকে বিএনপি নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে অভিযোগ করে তখনই সভার কাজ বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বলেন। এ সময় কর্মীদেরকে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখান। পুলিশ সদস্যরা সেখানে আতংকজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। এক পর্যায়ে থানার ওসি নিজেই ফোন করে কোন ধরনের জমায়েত না করার নির্দেশ দেন। এ সময় মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় সংক্ষিপ্ত দোয়া করে কর্মসুচি শেষ করা হয়।
কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, জেলা ১নং যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চৌধুরী কওসার আলী, খান জুলফিকার আলী জুলু, তৈয়েবুর রহমান, মোস্তফা উল বারী লাভলু, মেজবাউল আলম, রবিউল হোসেন, আতাউর রহমান রুনু, হুমায়ুন কবির, সাজ্জাদুল হাসান নান্টা, বুল চৌধুরী, হাবিবুর রমান হবি, উজ্জল কুমার সাহা, খান ইসমাইল হোসেন, গাউস মোল্লা, শরীফ নাঈমুল হক প্রমুখ।
এদিকে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও পুলিশী আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, দু:শাসন এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মানুষ তার মৃত সহকর্মী, ভাই কিংবা আত্মীয়ের জন্যও দোয়ার আয়োজন করতে পারছেনা। জনসমর্থনহারা গায়ের জোরে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখা সরকার সব সময় গদি হারানোর ভয়ে আতংকিত। তারা দেশটাকে একটি পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এভাবে ক্ষমতা দখলে রাখা যায়না। বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা পুলিশকে দলীয় আনুগত্য ত্যাগ করে প্রজাতন্ত্রের সেবক হিসেবে জনগনের ন্যায়সঙ্গত সাংবিধানিক প্রতিটি অধিকার রক্ষায় সহায়কের ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন মহানগর আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, জেলা আহবায়ক আমির এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, মহানগর সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল ইসলাম জহির, জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু।