অনলাইন ডেস্কঃঈদুল আযহাকে সামনে রেখে আগে ভাগেই বেড়েছে পেঁয়াজ, মসলা ও মুরগির ডিমের দাম। তবে সব ধরনের পেঁয়াজ ও এলাচের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। প্রায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ২৫ টাকা ও দুই সপ্তাহের ব্যবধানে এলাচের দাম এক হাজার টাকা এবং এক মাসের ব্যবধানে প্রতিহালি মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে প্রায় পাঁচ টাকা। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ও কারসাজির কারণে পেঁয়াজ ও মসলার দাম বাড়ার প্রধান কারণ বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পড়েছে বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের ভোক্তারা।
গতকাল নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ সপ্তাহখানেক আগে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ বছর ১ মার্চ নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ২০ থেকে ২২ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১৫ থেকে ১৮ টাকা, ২৮ মার্চ দেশি পেঁয়াজ ২২ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২০ টাকা, ২০ এপ্রিল দেশি পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়।
নগরীর বড় বাজারে মসলার দোকানগুলোতে প্রতিকেজি এলাচ ২৩শ’ থেকে ২৪শ’ টাকা, লবঙ্গ ৯শ’ টাকা, দারুচিনি ৩৪০ টাকা, গোলমরিচ ৫৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ খুচরা বাজারগুলোতে প্রতিকেজি এলাচ ২৮শ’ টাকা, লবঙ্গ ১২শ’ টাকা, দারুচিনি ৪শ’ টাকা, গোলমরিচ ৮শ’ দরে বিক্রি করছে ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা। যা প্রায় দুই সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি এলাচ ১৫শ’ থেকে ১৬শ’ টাকা, লবঙ্গ ৮শ’ থেকে সাড়ে ৮শ’ টাকা, দারুচিনি ৩শ’ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিহালি মুরগির ডিম ৩৪ থেকে ৩৮ টাকা এবং হাঁসের ডিম ৪০ থেকে ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ এক মাস আগে প্রতিহালি মুরগির ডিম ৩০ থেকে ৩২ টাকা এবং হাঁসের ডিম ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
বড় বাজারে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোঃ রিপন শেখ বলেন, ‘সামনে যেহেতু ঈদুল আযহা। এ কারণে মসলার দাম বাড়তে পারে। নগরীর বড় বাজার এলাকার মেসার্স আলতাফ ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ আলতাফ বলেন, ‘পাইকারী বাজারে সব ধরনের মসলার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এলাচের দাম কেজিপ্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪শ’ টাকা। কদমতলা রোডস্থ মেসার্স সোহেল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, সব ধরনের পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বড় বাজারে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোঃ ইমাম হোসেন মোল্লা বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ অনেক। তবে দাম বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
আরেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোঃ সেলিম শেখ বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। তিনি আরও বলেন, বাজারে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। ময়লাপোতাস্থ কেসিসি সন্ধ্যা বাজারে আসা ক্রেতা মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্র ৫/৬ দিনের ব্যবধানে দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। নগরীর রূপসা কেসিসি সুপার মার্কেটে আসা ক্রেতা চাঁনমারী এলাকার মোঃ মহসীন হোসেন বলেন, গেল রমজান মাসে পেঁয়াজের দাম ছিলো স্বাভাবিক। অথচ হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। নগরীর বড় বাজারে আসা ক্রেতা রূপসা স্ট্যান্ড রোডস্থ আবু জাফর শেখ বলেন, বাজারে পেঁয়াজের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে, অথচ দাম বেড়েছে।