রবিবার(২৩ মে) ঢাকার মহানগর হাকিম বাকী বিল্লার আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন। এ সময় পাঁচ হাজার টাকার বন্ডে এবং পাসপোর্ট জমা দেয়ার শর্তে তাকে এ জামিন দেয়া হয়।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম বাকী বিল্লার আদালতে জামিন প্রশ্নে ভার্চুয়াল শুনানি হয়। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের সুপারিশক্রমে আজ আদেশ দেয়ার কথা জানান আদালত।
ভ্যাকসিন ক্রয়/সংগ্রহ সংক্রান্ত সরকারি নথির ‘ছবি তোলা’ এবং ‘চুরির’ অভিযোগে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস’ আইনের মামলায় রোজিনাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার রাতে রোজিনাকে থানা হাজতে রেখে মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করে শাহবাগ থানা পুলিশ।
এর আগে প্রথমে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে আটকে রেখে ৫ ঘন্টা সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। পরে মধ্য রাতে তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে রাষ্ট্রীয় নথি চুরির মামলা করা হয়।
১৯২৩ সালের এ আইনে মামলাটি দায়েরের পর আইনটির গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীরা বলছেন, মামলার গ্রহনযোগ্যতার ব্যাখ্যা করবে আদালত। তবে রোজিনা ইসলামের সাথে আচরণ আইন পরিপন্থী।
এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, যেকোন নথির জন্য এ শাস্তি সে পাবে না শুধু কিছু গুরুত্বপুর্ন নথি ছাড়া। তার সঙ্গে যে আচরন করা হয়েছে তা অত্যন্ত জঘন্য। এটি সাংবাদিকদের কাজের জন্য একটি চরম হামলা।
রোজিনা ইসলামের সাথে জবরদস্তি করা হয়েছে, দাবি সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের। তিনি বলেন, এভাবে কাউকে আটকে রেখে থানায় নিয়ে যাওয়া এটা এই আইনের পরিপন্থি এবং অবৈধ। এই আইনে এমন কোন বিধান নেই।
গত বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ আমলের আইনে গ্রেপ্তার সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন শুনানি শেষ করে আদেশের জন্য আজ রবিবার দিন ঠিক করেছে আদালত।