চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী (১২) প্রসববেদনায় কাতরাচ্ছে। ১০ মাসের গর্ভবতী এ শিশুটি এ সপ্তহের মধ্যেই মা হতে যাচ্ছে। শিশুটির ভাষ্য অনুযায়ী- দুই লম্পটের লালসার শিকার সে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির খোঁজখবর নেন।
জানা যায়, বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভোজমহল সরকারি প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) বাবুল হোসেন এবং শিশুটির বাড়ির চাচা সম্পর্কের জুয়েলের লালসার শিকার সে। তবে ধর্ষণ মামলায় জুয়েল বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। শিশুটি শেবাচিম হাসপাতালের তৃতীয় তলায় প্রসূতি বিভাগে রয়েছে। তার চিকিৎসায় ব্যয়সহ যাবতীয় দেখাশুনা করছে ‘ভোলা ব্লাড ডোনার্স ক্লাব’ নামক একটি সংগঠন।
এ সংগঠনের সদস্য কলেজছাত্র সুজন জানান, চিকিৎসকরা স্বাভাবিক প্রসব হওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছেন। তাকে সিজারিয়ান অপারেশন করতে হবে। এ নিয়ে শনিবার হাসপাতালের চিকিৎসকরা বোর্ড সভা করে সিজারিয়ান অপারেশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রসূতি বিভাগের সেবিকা শাহনাজ পারভীন জানান, শিশুটির শ্বাসকষ্ট ও রক্তশুন্যতা প্রকট। তাকে কয়েকবার রক্ত দিতে হয়েছে। শিশুটির বক্তব্য অনুযায়ী, প্রায় এক বছর আগে প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেন বিদ্যালয় ভবনের তৃতীয় তলায় লাইব্রেরির কক্ষে নিযে তাকে ধর্ষণ করেছে। এরপর প্রায়ই সহকারী শিক্ষিকা রেবা তাকে লাইব্রেরিতে ডেকে নেওয়ার পর প্রধান শিক্ষক ধর্ষণ করত। রেবা লাইব্রেরির বাইরে পাহাড়ায় থাকত। পরবর্তীতে একই বাড়ির চাচা সম্পর্কীয় জুয়েলও বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে শিশুটিকে ধর্ষণ করত। গর্ভের চার মাসের সময় তার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে মায়ের চাপের মুখে তার কাছে সবকিছু খুলে বলে। তখন প্রধান শিক্ষকের চাপের মুখে শুধুমাত্র জুয়েলকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে শিশুটির মা।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম জানান, শুধুমাত্র জুয়েলকে আসামি করে মামলা করেছে শিশুটির মা। পরে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলায় জুয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়েছে।
প্রধান শিক্ষকের নাম আসা প্রসঙ্গে ওসি বলেন, জুয়েল শিশুটির নিকটাত্মীয়। ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিতে প্রধান শিক্ষকের নাম এখন এসেছে।