খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বর্তমান সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে দেশ পুষ্টি সূচকে অনেক উন্নতি লাভ করেছে। দেশের প্রায় সাড়ে সতের কোটি মানুষের তিন বেলা খাদ্যের যোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে। এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা পূরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীকে খাদ্য ও পুষ্টি তথা সার্বিক উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সিটি মেয়র আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘‘প্রোটিন ফর অল’’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের (ইউএসএসইসি) সহযোগিতায় বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র আরো বলেন, উন্নত দেশ গড়তে হলে স্বাস্থ্যবান ও মোধাবী জাতি গঠনের কোন বিকল্প নেই। আর সুস্থ-সবল দেহ ও দীর্ঘ কর্মক্ষম জীবনের জন্য জরুরী সুষম খাদ্য। অথচ সাধারণ মানুষের মাঝে পুষ্টি ও প্রোটিন বিষয়ে সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে। খাদ্য ও পুষ্টির যোগান বৃদ্ধিতে আবাদযোগ্য জমি রক্ষায় উপযুক্ত সরকারি নীতিমালা, দক্ষ জনশক্তি এবং উৎপাদনকারীদের দূরদর্শী পরিকল্পনার পাশাপাশি তিনি সাধারণ মানুষের মাঝে পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিপিআইসিসি’র সহ-সভাপতি শামসুর আরেফিন খালেদ-এর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর-খুলনার পরিচালক ডা. সুখেন্দ শেখর গায়েন। পুষ্টি বিষয়ক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল নিউট্রিশনিস্ট শামসুন নাহার নাহিদ মহুয়া ও পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান। স্বাগত বক্তৃতা করেন ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: মাহবুব হাসান।
পরে সেমিনারে বিষয় ভিক্তিক উম্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অলোচনাকালে বক্তারা বলেন, অপুষ্টির কারণে শিশুরা একদিকে যেমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায় অন্যদিকে শারীরিক ওজনও হ্রাস, খর্বাকৃতি হওয়া, খিটখিটে মেজাজ, বিষন্নতা ইত্যাদি সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। শিশুদের এ সকল সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার জন্য সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন। কিন্তু সাধারণ মানুষের মাঝে পুষ্টি ও প্রোটিন বিষয়ে সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে, আছে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি ও ভুল ধারণা। জনসাধারণের মাঝ থেকে এ সকল বিভ্রান্তি ও ভুল ধারণা দূরীভূত করতে এ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।
পুষ্টি বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, রন্ধন শিল্পী, গণমাধ্যমকর্মীসহ পোল্ট্রি খামারি ও শিল্পদ্যোক্তাগণ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সিটি মেয়র বিজয়ী রন্ধন শিল্পীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।