উপকূলের তৃণমূল পর্যায়ের চিংড়ি খামারিদের সমস্যা নিরসনে সংগঠিত ফিস ফার্ম ওনার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ফোয়াব)। খুলনার উপজেলা পর্যায়ের চিংড়ি খামারিরা ফোয়াবের ব্যানারে ৭ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে। গতকাল রোববার স্মারকলিপিটি প্রধানমন্ত্রীকে দেয়ার জন্য খুলনার জেলা প্রশাসকের হাতে প্রদান করেন প্রান্তিক খামারি ও ফোয়াবের নেতৃবৃন্দ। রপ্তানিযোগ্য মৎস্য, চিংড়ি ও মৎস্য পোনা উৎপদনকারী খামার মালিকদের বঞ্চনা হতে মুক্তির প্রেক্ষিতে প্রান্তিক খামারিদের সমন্বিত উদ্যোগে এই দাবি ৭টি উত্থাপিত হয়
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবি ৭টি হলো, মৌসূমের আপদকালীন সময় সরকারিভাবে রপ্তানিযোগ্য মাছ ও চিংড়ি খামারিদের নিকট থেকে ক্রয় করতে হবে, আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও মৎস্য অফিসের মাধ্যমে উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারকদের নিয়ে নির্ধারণ করতে হবে, প্রক্রিয়াজাতকারী কারখানা যাতে পুশ চিংড়ি অশুভ সিন্ডিকেটের কাছ থেকে না নেয় সেজন্য মনিটরিং জোরদার ও পুশকারীদের তালিকা প্রণয়ন, লাইসেন্স বাতিল ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানিকারক রপ্তানিতে প্রলোদনা ও মাছ ও চিংড়ি ক্রয়ে স্বল্প সুদে ঋণ পায় তাই মাছ ও চিংড়ি নগদ মূল্যে ক্রয় করতে হবে, কৃষির ন্যায় এই সেক্টরের বিদ্যুৎ বিল সরবরাহ করতে হবে, রোগমুক্ত (এসপিএফ) পোনা সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে এবং মৎস্য ও চিংড়ি রপ্তানিতে আইনী বাধা দূর করতে হবে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন ফোয়াবের কেন্দ্রীয় সভাপতি মৎস্য বান্ধব ও সমবায় ব্যক্তিত্ব মোল্লা শামসুর রহমান শাহিন, যুগ্ম সম্পাদক শেখ সাকিল, পাইকগাছা উপজেলা চিংড়ি খামারু মালিক সমিতির সভাপতি মো: মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া রিপন, মো: সাজ্জাত, ফেয়াবের জেলা আহ্বায়ক অধ্যক্ষ অনরুদ্ধ বাহাদুর, সদস্য সচিব নাসিরুল্লাহ হিরা, ফোয়াবের বটিয়াঘাটার আহ্বায়ক পঞ্চানন গাইন, ডুমুরিয়া বড়ডাঙ্গা মডেল প্রকল্পের মৃন্ময় গাইন, রূপসার সদস্য সচিব মো: আলী হোসেন, পাইকগাছার তালতলা ক্লাস্টার চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি প্রীতিষ মন্ডল, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সহ-সভাপপতি বিকাশ বিশ^াস, রবিউল ইসলাম, বিপ্লব কবিরাজ, সমীর হালদার, মফিজুল ইসলাম, অজিত মন্ডল, সমীর হালদার ও তপু মন্ডল।