খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালি ইউনিয়নের কল্যানশ্রী গ্রামের গ্রাম পুলিশ রশিদ গাজী তার প্রতিবেশী আশরাফ গোলদারের কাছে মাত্র সাড়ে চার শতক জমির দাবীদার হয়ে ৬৮ শতক জমির চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়েছে এবং ধানের পাতো নষ্ট হওয়ার উপক্রম।
জানা যায়, উক্ত গ্রামের আশরাফ আলী গোলদার তার নিজস্ব ক্রয়কৃত জমিতে দীর্ঘদিন যাবৎ চাষাবাদ করিয়া আসিতেছে। গত ১০ জানুয়ারী সকাল ১০ টায় প্রতিবেশী আইয়ুব আলীর ছেলে জাহিদুল গোলদার ও মৃত: আক্কাছ গাজীর ছেলে গ্রাম পুলিশ মোঃ রশিদ গাজীসহ কয়েকজন মিলে আশরাফ গোলদারের জমির ভেড়ীবাধ কাটতে থাকে, এঘটনায় তার স্ত্রী তাদের নিষেধ করলে তারা উত্তেজিত হয়ে তাকে চুলের মুঠি ধরে মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দেয় ও পরিধানের কাপড় ছিড়িয়া ফেলে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এবং তার গলার স্বর্ণের চেইন ছিড়িয়া নেয়। এই ঘটনার পরেরদিন জমিতে আশরাফ গোলদার চাষাবাদ করতে গেলে গ্রাম পুলিশ রশিদ গাজী আবারও লোকজন নিয়ে এসে হুমকি দেয় ও কিল ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং জানে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়, জমিতে কোনোপ্রকার চাষাবাদের কাজ না করার জন্য। চেয়ারম্যান মেম্বার ও থানা পুলিশের ভয় দেখায়। এঘটনায় স্থানীয়ভাবে কোনো মিমাংসা না হওয়ায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।
এঘটনায় বাদী আশরাফ আলী গোলদার বলেন, গত ১৭ জানুয়ারী বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত বটিয়াঘাটায় এ সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ করিয়া মামলা করি। মামলা নং-১৫/২২। বর্তমানে আমার জমিতে রোপন করিতে না পারায় ধানের পাতো নষ্ট হইয়া যাওয়ার পথে। উক্ত মামলা বটিয়াঘাটা থানার এস আই সোহানের উপর তদন্তের দায়িত্ব পড়ে। সেই মোতাবেক এস আ্ই সোহান গত ৯ ফেব্রæয়ারী সন্ধ্যায় আসামীদের সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়ীতে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে মামলাটি আসামীদের সহিত মিমাংসা করিয়া লইতে বলে চলে যায়। আমি এখন আর্থিক ও মানষিক ক্ষতিগ্রস্থ হইয়া পড়িয়াছি। আসামীরা প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাইতেছে।
ঘটনাস্থলে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশরাফ আলী গোলদারের জমির চাষাবাদ বন্ধ আছে এবং ধানের পাতো নষ্ট হওয়ার উপক্রম। এবিষয়ে গ্রাম পুলিশ রশিদ গাজী বলেন, ঘটনা সত্য তবে ইউনিয়ন পরিষদে মিমাংসার জন্য তাদের বলা হলেও তারা পরিষদে না এসে কোর্টে মামলা করেছে। বটিয়াঘাটা থানার এস আই সোহান বলেন, জমিজমার মামলা মিমাংসা করে নেওয়ার ব্যাপারে তাদেরকে বলেছি, তবে মারামারি সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত এখনও বাকী আছে।