আল আমিনঃ খুলনা জেলা বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের বৃত্তি খলশিবুনিয়া গ্রামের নিতিশ তরফদারের মেয়ে খলশিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শেনীর ছাত্রী প্রিয়া তরফদার (১৫) কে অপহরণ করে নিয়ে গেছে সুরখালী ইউনিয়নের বুনারাবাদ গ্রামের মনির শেখের পুত্র কারিমুল শেখ (১৭)সহ ৬ জন মিলে। গত ১৫ ই জানুয়ারি মধ্য রাতে এই অপহরণের ঘটনা ঘটে। কিন্তু প্রায় ৪ মাস অতিবাহিত হলেও প্রিয়ার কোন খোঁজখবর পাইনি তার পরিবার। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আলমগীর হোসনে বিভিন্ন জায়গায় সাড়াশি অভিযান চালিয়ে গত বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে মনির নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। অন্যদিকে অপহরণকারী কারিমুলের পক্ষ থেকে মেয়ের পরিবার সংখ্যালঘু হওয়ায় রিতি মতো জীবন নাশের হুমকি প্রদর্শন করে চলছে। সম্প্রতি এক সংবাদ সন্মেলনে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন অপহৃত প্রিয়ার বাবা নিতিশ তরফদার। সংবাদ সন্মেলন এবং খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ এর ৩৪/২০২০ নং মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ২৫/০১/২০২০ তারিখে নিতিশ তরফদারের মেয়ে মধ্য রাতে তার ঠাকুর মার সঙ্গে বাহিরে যায় কিন্তু পুর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা বুনারাবাদ গ্রামের কারিমুল, সুখদাড়া গ্রামের কিংকর তরফদার ও রিয়াজ শেখ, বৃত্তি খলশিবুনিয়া গ্রামের পল্লব মন্ডল,বুনারাবাদ গ্রামের মনির শেখ ও সন্জিদ তরফদার মিলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন বিভিন্ন এলাকায় এবং আত্নীয়র বাড়িতে খোজাখুজি করে কোন খোঁজ না পাওয়ায় গত ১৭ জানুয়ারি বটিয়াঘাটা থানায় এজাহার দায়ের করেন কিন্তু থানায় পক্ষ্য থেকে তেমন কোন সহযোগিতা না করায় গত ১৯/০২/২০২০ তারিখে আদালতে আশ্রয় নেন। গত ১৯শে ফেফ্রুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আলমাচ হোসেন মৃধা নারী ও শিশু রির্যাতন দমন আইনের ( সংশোধিত ২০০৩,২০০০ এর ৭/৩০ ধারার অধিনে দায়েরকৃত মামলাটি এজাহার হিসেবে গন্য করতঃ তদন্ত পুর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল কবীরকে নির্দেশ প্রদান করেন। নিতিশ তরফদার বলেন, আজ প্রায় ৪ মাস মেয়েটি অপহরণ হলেও পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে পারিনি তবে ছেলের বাবা মনিরকে আটক করায় আমরা অনেক খুশি, তবে মেয়েকে উদ্ধারে সাংবাদিক ও পুলিশের সহযোগিতা কামনা করছি। অন্যদিকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য রিতি মতো আগামিরা চাপ সৃষ্টি করছেন। প্রিয়া পরিবারের বড় মেয়ে হওয়ায় এবং ৪মাস নিখোজ থাকায় তাদের সংসারে সবাই পাগল বেশে ঘুরছে এবং বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি চালিয়ে যাচ্ছে। সার্বিক বিষয় মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই আলমগীর হোসেন বলেন, মামলাটির দায়িত্ব সবে মাত্র পেয়েছি, ভিকটিম উদ্ধারে জোর তৎপরতা চলছে। মনির নামের এক আসামিকে আটক করেছি, আশা করি দ্রুততম সময়ে মুল রহস্য বেরিয়ে আসবে। এবিষয় অভিযান অব্যাহুত আছে। এলাকার সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের লোকজন জেলা পুলিশ সুপার, পুলিশের আইজি, মাননীয় স্ব রাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।