চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের এবং আজ সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে শুক্রবার বিকেলে কুয়েট আন্তঃহল ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’টি হলের ছাত্রদের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ দেখা দেয়। যার প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় কুয়েট একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন।
এদিকে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে কুয়েট কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ইলেকট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ নুরুন্নবী মোল্লাকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানান, গত শুক্রবার বিকেলে কুয়েট আন্তঃহল ফুটবল প্রতিযোগিতায় অমর একুশে হল ও রশিদ হলের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলাটি গোল শূন্য ভাবে শেষ হয়। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের রেফারি মোঃ শাহআলম খেলা পরিচালনা করেন। অমর একুশে হলের খেলোয়াড়দের অভিযোগ খেলা চলাকালীন সময়ে ল্যাইনম্যান অফ সাইডের নির্দেশ দিলেও ম্যাচ রেফারি শাহআলম সেটা না দেওয়ার কারনে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ছাত্ররা রেফারী শাহআলমকে মারধর করে। পরে মাঠ থেকে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার এর সামনে গেলেই দু’দল ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় ও ফজলুল হক হলের গ্লাস ভাঙচুর করে।
এ সময় আহতরা হলেন স্বরণ, জিহাদ, গিজারী, সিয়াম, রাফি, আবির, তনয়, অঞ্জন, শারীরিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রায়হান। পরবর্তীতে রাত ১০টায় ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার উভয় গ্র“পের ছাত্রদের সাথে বসে সমাধানের প্রস্তাব দিলে সেটি নাকচ করে দেয়। পরে জরুরি ভাবে একাডেমিক কাউন্সিল বৈঠকে বসে। বৈঠকে ভাইস চ্যান্সেলরসহ সকল ডীন ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালক আলোচনার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনিবার্য কারণবশত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। একই সাথে ছাত্র ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নির্দেশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস, দপ্তর, কার্যালয় যথারীতি ভাবে চালু থাকবে।
খানজাহান আলী থানা অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, যে কোন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।