বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৩১টি দেশ ও অঞ্চলে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা অবশেষে প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাজ্য। মহামারি করোনা সংক্রান্ত ব্রিটেনের জনস্বাস্থ্যবিধির হালনাগাদ তথ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
বুধবার যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেইন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) দেশটির আগের আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলোর ‘রেড লিস্ট’ হালনাগাদ করেছে। বাংলাদেশ এবং অন্যান্য ৩১টি দেশ ও অঞ্চলের সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর এসব দেশের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এফসিডিও।
এফসিডিও বলেছে, বিধি-নিষেধে এই পরিবর্তনের অর্থ হলো- লোকজন এখন আরো সহজেই বেশিসংখ্যক গন্তব্যে ভ্রমণ করতে পারবে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রুস বলেছেন, করোনা বিধির এই পরিবর্তন ভ্রমণকে আরো সহজ করে তুলবে এবং ব্রিটেনজুড়ে ব্যবসা ও পরিবারগুলোর জন্য সহায়ক হবে। আমাদের অনেককে বন্ধু এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে শান্তিমতো দেখা করার সুযোগ তৈরি করে দেবে।
বিধি-নিষেধে পরিবর্তনের আগে পর্যন্ত এফসিডিও করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্বের ১১৭টি দেশ ও অঞ্চলে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরো কিছু দেশে ব্রিটেনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য সহায়ক এবং সরল ব্যবস্থার অংশ হিসেবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটেনের সরকার। একই সঙ্গে টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়া পর্যটকদের জন্য করোনা পরীক্ষার বিধিও প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাজ্য।
এফসিডিও বলেছে, ৫০টিরও বেশি দেশের টিকার ডোজ পূর্ণকারী নাগরিক এবং ১৮ বছরের নিচের শিশুরা এখন দেশ ছাড়ার আগ মুহূর্তে করোনা পরীক্ষা, পৌঁছানোর এক থেকে ৮ দিনের মধ্যে পিসিআর পরীক্ষা অথবা আইসোলেশনে থাকা ছাড়াই ব্রিটেন ভ্রমণ করতে পারবেন।
যেসব দেশের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলো-
বাংলাদেশ, আলজেরিয়া, আর্মেনিয়া, বেলারুশ, বেনিন, কোমোরোস, টোকেলাউ ও নিউ, জিবুতি, নিরক্ষীয় গিনি, ফিজি, গাম্বিয়া, গিনি, কাজাখস্তান, কিরিবাতি, কসোভো, লাইবেরিয়া, মাদাগাস্কার, মালয়েশিয়া, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, সাও টম২৩৩, প্রিন্সিপে, সেনেগাল, সলোমান দ্বীপপুঞ্জ, টোগো, টোঙ্গা, টুভালু, ভানুয়াতু, কঙ্গো, আমেরিকা সামোয়া, ফরাসি পলিনেশিয়া এবং ঘানা।