বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ আয়োজিত আনন্দ র্যালী ও কেককাটা অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বাংলাদেশ সৃষ্টির সাথে যে সকল অন্দোলন সংগ্রাম জড়িত তার মূল কারিগর ছিলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্থানী শাষন ও শোষনের হাত থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে এবং স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করতে একটি সুসংগঠিত সাংগঠনিক প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তিনি ভাবেন এটা একমাত্র ছাত্র সংগঠন দ্বারা সম্ভব। সেই প্রয়োজনীয়তা থেকে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারী একদল সাহসী ছাত্রদের নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্টা করেন। সেই থেকে বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৬ এর শাষনতন্ত্র আন্দোলন, ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ এর ছয় দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন, ৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধসহ ৯০ এর সৈ¦রাচার বিরোধী আন্দোলন, ১৩-১৪ সালের বিএনপি জামাতের আগুন সন্ত্রাস বিরোধী আন্দোলনের অগ্রনী ভুমিকা পালন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন ছাত্রলীগের আন্দোলন সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি, জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী ৭ জানুয়ারী অবাধ সুষ্টু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে এবং বিএনপি জামাতের নির্বাচন বিরোধী সকল অপচেষ্টা, ষড়যন্ত্র ও আগুন সন্ত্রাস রুখে দিতে হবে। এটাই বর্তমানে ছাত্রলীগের আন্দোলন সংগ্রাম।
বৃহস্পতিবার ৪ঠা জানুয়ারী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকাল ৪ টায় আনন্দ র্যালী, সমাবেশে ও কেককাটা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নেতেৃবৃন্দ।
নগরের ফেরীঘাট মোড় থেকে শুরু হয়ে ডাকবাংলো মোড়, পিকচার প্যালেস মোড় হয়ে শহীদ হাদিস পার্কে খুলনা-২ আসনের নৌকা প্রতীকের শেষ নির্বাচনী জনসভায় এসে শেষ হয়। নির্বাচনী জনসভা শেষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেককাটা হয়।
এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ত্রাণ ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, জননেতা শেখ হেলালউদ্দিন এমপির সহধর্মিনী মিসেস রূপা চৌধুরি, সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের সহধর্মিনী মিসেস শাহানা ইয়াসমিন শম্পা, বক্সগবন্ধু’র ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ জালালউদ্দিন রুবেল, ডা. ফারমিনা খানম রূপা, বক্সগবন্ধু’র ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ বেলাল উদ্দিন বাবু, শেখ বেলাল উদ্দিন বাবুর সহধর্মিনী ওয়াহিদা সুলতানা (সোনিয়া), সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের কনিষ্ঠপুত্র শেখ ফারজান নাসের, শেখ জালাল উদ্দিন রুবেলের পুত্র শেখ লুৎফর রহমান মাহির, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড আইয়ুব আলী, অধ্যাপক আলমগীর কবির, মুন্সি মাহাবুব আলম সোহাগ, হাফেজ মো: শামিম, এ্যাড সাইফুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, ফকির মো: সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, কাজী জাহিদ হোসেন, ইকবাল আজিজ সাগর, শাহারিয়ার আজিজ অপু, ক্যালিফোর্নিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. রবি আলম, সাবেক ছাত্রনেতা সফিকুর রহমান পলাশ, এমএ নাসিম, চৌধুরি মো: রায়হান ফরিদ, মীর বরকত আলী, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাাদক আসাদুজ্জামান রাসেল, এসএম হাফিজুর রহমান হাফিজ, কাজী কামাল হোসেন, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা তাজুমুল হক তাজু, এসএম মাসুদ হোসেন সোহান, রণবীর বাড়ই সজল, জব্বার আলী হীরা, জহির আব্বাস,মো:হেলালহোসেন, রুবায়েত ইসলাম জুয়েল, জাহিদুর রহমান জাহিদ, সুমন শেখ, মাহামুদুল ইসলাম সুজন, কামরুজ্জামান ইমরান, সোহান হোসেন শাওন, আরাফাত হোসেন মিয়া, রেজোয়ান মোড়ল, তায়েজুল ইসলাম তাজ, ইবনুল হাসান, মাহামুুদুর রহমান রাজেস, মেহেদী হাসান স্বপন, আলামিন হাওলাদার, বায়জিদ সিনা, আহানাফ অর্পন, সাগর মিত্র চিন্ময়, মো: সুমন শেখ, সাজু দাশ, পারভেজ শিকদার, জুয়েল শেখ, শেখ সাকিব আশফাক নাইম, শংকর কুন্ডু, ইমরান হোসেন বাবু, মেহেদী হাসান সজিব, রবিউল ইসলাম প্রিন্স, মো: গালিব হোসেন, প্রিতম সাহা, শেখ সাইফ সাজিদ, শাহরিয়াননেওয়াজ রাব্বি, অভিজিৎ সরকার রাহুল, সোহান সাদী, শফিকুল ইসলাম মুন্না, শেখ শান্ত, জনি বসু, মো: রাশেদুল ইসলাম, নিশাত ফেরদৌস অনি, রুমান আহমেদ, আতিকুর রহমান সোহাগ, ইয়াসিন আরাফাত সহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।