চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের বাগেরহাট সদর উপজেলা মাথাভাঙা এলাকায় গতকাল শনিবার ভোর রাতে গোল্ডেন লাইন নামে একটি দূরপাল্লার নৈশ পরিবহনে ডাকাতি হয়েছে। যাত্রীবেশী ডাকাতরা বাসে থাকা যাত্রীদের গহনা, নগদ অর্থ, মোবাইল ফোনসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। ডাকাতদের হামলায় পরিবহনের চালক দ্বীন ইসলাম (৪২) আহত হয়েছেন। তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ডাকাতি শেষে পরিবহন থামিয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলার মাথাভাঙা এলাকায় ডাকাতরা নেমে যায়। তবে পুলিশ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনো সনাক্ত করতে পারেনি। মালামাল লুট হওয়া যাত্রীদের বাড়ি বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ ও পিরোজপুর জেলায়।
বাসের সহকারী আবিদ হোসেন বলেন, গত শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে ঢাকার টেকনিক্যালের মোড় থেকে পিরোজপুরের উদ্দেশ্যে গোল্ডেন লাইন নামের বাসটি ছেড়ে আসি। ঢাকার সাভারের নবীনগর কাউন্টারে বাসটি পৌঁছালে সেখান থেকে টিকিট নিয়ে আটজন যাত্রী এই বাসে ওঠে। বাসটি ফরিদপুরের ভাঙ্গার মোড়ে পৌঁছালে অস্ত্রধারী ওই যাত্রীরা কালো মুখোশ পরে প্রথমে আমাকে ও আমার চালককে মারধর শুরু করে। এ সময় গাড়ির চালক দ্বীন ইসলামকে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে বললে রাজি না হওয়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মুখে আঘাত করে। এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হয়ে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিলে ওদের একজন গাড়ি চালাতে শুরু করে। এরপর ওরা একে একে সবার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মালামাল লুট করতে থাকে। চলে রাত তিনটা পর্যন্ত। এর মধ্যে গাড়িটি কোথাও দাঁড়ায়নি। ডাকাতির শিকার হয়েছেন অন্তত ৩০ জন যাত্রী। ডাকাতি শেষে পরিবহন থামিয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলার মাথাভাঙা এলাকায় ডাকাতরা নেমে যায়।
ডাকাতির শিকার এনজিও কর্মী শিল্পী আক্তার বলেন, যাত্রীবেশি ৭/৮ জনের কালো মুখোশ পরা ডাকাত দলটি অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমার গলার স্বর্ণের চেইন, চুরি, কানের দুল, নগদ কুড়ি হাজার টাকা, দু’টি মোবাইল সেট এবং কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে নেয়। পরে তারা একে একে বাসে থাকা সব যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
ডাকাতির ঘটনা নিশ্চিত করে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজ আবজাল বলেন, দুল পাল্লার নৈশ পরিবহনে ডাকাতির ঘটনা জানতে পেরে পুলিশ যাত্রীদের সাথে কথা বলেছে। ডাকাতি হওয়া পরিবহনের চালক দ্বীন ইসলাম ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন। তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় আনা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ডাকাত দলকে সনাক্ত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।