সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা বৃহস্পতিবার , ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বাবুর আবগারীর ভেজাল স্পিরিট মিশ্রিত মদের তথ্য ফাঁস করায় কাল হলো জাহাঙ্গীরের | চ্যানেল খুলনা

জাহাঙ্গীরের পরিবারের দাবী মৃত্যুর দেড় ঘন্টায় তরিঘরি দাফনের রহস্য কি ?

বাবুর আবগারীর ভেজাল স্পিরিট মিশ্রিত মদের তথ্য ফাঁস করায় কাল হলো জাহাঙ্গীরের

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার সময় দুপুর ১-৩০ মিনিটের সময়ে ট্যাংক রোডের বাসায় খাবারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জাহাঙ্গীর কবির । এমন সময়ে নিছ থেকে ডাকা আসে জাহাঙ্গীর,জাহাঙ্গীর বলে,জানালা দিয়ে চেয়ে দেখেন তার মালিক তাকে ডাকছেন রুপসাস্থ আবগারীর দোকানে যাওয়ার উদ্দ্যেশে । তাৎখনিক স্ত্রী সাজেদা জান্নাত সুমীকে তরকারী গরম করতে বলে এবং আরো বলে এই বাবু আমাকে মার্ডার করে ছাড়বে । আসলেই হয়েছে ঠিক তাই । দুপুর দেড়টায় বাসা থেকে বের হয়ে বেলা ৩টায় চলে গেছেন চিরদিনের মত নগরীর টুটপাড়া গোরস্থানে । মাঝখানে সময় মাত্র দেড়ঘন্টা । দেড়ঘন্টা ব্যাবধানে একজন সুস্থ সবল মানুষ নিজ মালিকের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলন আর ফিরে যে আসবে না তা হয়তো তার ৬ বছরের শিশুকন্যা সানজিদা কবির ও স্ত্রী সুমী বুজতে পারেনি যে তরকারী গরম করাই তার স্বামীর শেষ কথা ছিলো । এ ভাবেই বিলাপ করে কাধছেন এবং ঘটনার লোমহর্ষক বিবরন দিচ্ছেন এ প্রতিবেদকের কাছে ।

তিনি জানান,বাসা থেকে বের হয়েছেন দুপুর দেড়টায় সময় আর চির দিনের মত চলে গেছেন বিকাল ৩ টায় । মসজিদে ঘোষনা ছিলো আছরবাদ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে কিন্তু অজ্ঞাত কারনে ঘোষনার একঘন্টা আগেই টুটপাড়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয় । মৃত ব্যাক্তিকে হাসপাতালে এনে স্ত্রীকে ফোন করা হয় তোমার স্বামী অসুস্থ । খবর পেয়ে স্ত্রী হাসপাতালে এসে দেখেন লাশের ট্রলিতে স্বামীর লাশ । বাসা থেকে বের হয়েছে নিজ কর্মস্থল দোকানে যাচ্ছি । এইযে দেখা যে শেষ দেখা হবে সেটা কখনো ভাবতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা । এমনকি মৃত্যুরপর শেষবারের জন্য স্বামীর লাশ দেখতে দেয়নি দোকানের মালিক ।
খুলনা মহানগরীর ট্রাংক রোডের সপ্ত মহলের মোঃ ফাইনাল হকের চার সন্তানের মধ্যে দুই পুত্র দুই কন্যা সন্তান রেখে যান । এদের মধ্যে বড় সন্তান জাহাঙ্গীর কবির (৫২)  কাজ করেন রুপসা সরকার অনুমোদিত মনিরুল ইসলাম বাবুর আবগারীর দোকানে । চার সদস্যের পরিবারে স্বামী ও স্ত্রী ছাড়া তাদের পরিবারে রয়েছে দুটি সন্তান । প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার দুপুরে ৩১ ট্রাংক রোডের বাসা থেকে বের হয়ে বাবুর সাথে দোকানে আসেন । আসার পর জাহাঙ্গীরকে মালিক বাবু বলে দোকানে রাজনসহ অন্যান্ন কর্মচারীরা দেশীয় মদ বোতলজাত করছে । শুধু বোতলজাতই নয় মদে ভেজাল স্পিরিট মিশ্রিত । এ সময় জাহাঙ্গীর কবির  বলে বাবু ভাই এই মদ খেয়ে আগেও অনেক মানুষ মারা গেছে । আর এখন করোনা ভাইরাসের সময় যদি এই মদ বিক্রি করা হয় তাহলে মানুষ মরে যাবে আর দোকানতো বন্ধ থাকার কথা ,তখন বাবু বলে দোকান খুলেছি পুলিশকে ম্যানেজ করে । এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টি হয় এক বিরাট ঝামেলা । আর এই ঝামেলা সৃষ্টির সাথে জরিতরা তাৎখনিক জাহাঙ্গীরকে দুনিয়া ছেড়ে যেতে বাধ্য করে বলে একটি সুত্র নিশ্চিত করে। জাহাঙ্গীর মুখ ফসকে বের করেছে ভেজাল স্পিরিট মিশ্রিত মদ খেয়ে মানুষ মারার কথাই জাহাঙ্গীর জন্য কাল হয়ে দারায় ।সেই কালই জাহাঙ্গীরের মৃত্যু ডেকে আনে । বাবু ও তার কর্মচারীরা একত্রে পথের কাটা সরাতে সময় নেয়নি জাহাঙ্গীর কোন কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই মুহুর্তেই তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলা হলো । জাহাঙ্গীর মৃত্যু নিশ্চিত করে পর বেলা দুইটায় জাহাঙ্গীরের মৃতদেহ নিয়ে একটি ইজিবাইকে করে নগরীর একটি বেসরকারী ক্লিনিকে নিয়ে আসে মালিক মনিরুল ইসলাম বাবু,কর্মচারী রাজনসহ কয়েকজন । ঐ হাসপাতালে জাহাঙ্গীরকে আনার সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় এতো আরো অনেক আগেই মারা গিয়েছে,মৃত্য ব্যাক্তিকে কেন হাসপাতালে নিয়ে এলেন । এরপর জাহাঙ্গীর হার্ড্এ্যাটাকে করছে সে খুব অসুস্থ বলে ফোন করা হয় জাহাঙ্গীর কবিরের স্ত্রী সাজেদা জান্নাত সুমিকে (৩৮)কে । সুমিকে দোকানের মালিক জানায় জাহাঙ্গীর অসুস্থ তোমাকে একটু হাসপাতালে আসতে হবে । খবর পেয়ে সুমি দ্রুতবেগে হাসপাতালে ছুটে এসে দেখেন তার প্রানপ্রিয় স্বামীর নিথর দেহটি লাশের ট্রলিতে পড়ে আছে । স্বামীর মৃত্যর নিথর দেহটি পড়ে থাকতে দেখে গভীর কান্নায় ভেঙ্গে পড়লে দোকানের মালিক জানায় কান্না করে কি হবে চলো দ্রুত দাফনের কাজ করতে হবে । এরপর লাশ নিয়ে আসা হয় ট্রাংক রোডের বাসায় । বাসায় আনার পর যথারিতি মসজিদের মাইকে ঘোষনা মৃত জাহাঙ্গীর কবিরের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আছরবাদ । কিন্ত অজ্ঞাত কারনে ঘোষনাকৃত সময়ের আগেই দাফনের কার্যক্রম চলে দ্রুত গতিতে । আর এই দ্রুতগতির লাশ দাফনের বিষয়ে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী সুমী,কন্যা সানজিদা,ভাই ইকবল কবিরকে অন্ধকারে রেখে চতুর মনিরুল ইসলাম বাবু গোপন চুক্তি সারেন জাহাঙ্গীরের মামার সাথে । মামার সহযোগিতায় মসজিদের জানাজা নামাজের নির্ধারিত সময়ের এক ঘন্টা আগেই জাহাঙ্গীরের লাশ দাফন হয় টুটপাড়া গোরস্থানে । শেষ বারের ন্যায় একটু দেখতে দেয়া হয়নি পরিবারের সদস্যদের।
হাসপাতাল হয়ে বাসা,বাসা থেকে টুটপাড়া গোরস্থানে মাত্র দেড় ঘন্টার মধ্যেই দাফন সম্পন্ন করা হয় । তবে জাহাঙ্গীর কবিরের স্ত্রী সাজেদা জান্নাত সুমী, ছোট ভাই ইকবল কবির,বোন সুরাইয়া পারভীন,সুমাইয়া পারভিন এবং জাহাঙ্গীরের দুবাই প্রবাসী পুত্র এই মৃত্যু রহস্য উন্মোচন করে ভেজাল স্পিরিট মেসানো মদ বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম বাবুসহ অন্যান্ন দোষী ব্যাক্তির শাস্তির দাবী জানান।

উল্লেখ্য, রুপসা আবগারী দোকানের মালিক মনিরুল ইসলাম বাবু তারই কর্মচারীকে নিচ থেকে ডাকছে জাহাঙ্গীর দ্রুত দোকানে যেতে হবে । এই কথা শুনে জাহাঙ্গীর কবির স্ত্রী সুমীকে ভাত খাওয়ার জন্য তরকারী গরম এবং আমাকে বাবু মার্ডার করে ছাড়বে এ কথা বলে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় যে কথা বলেছিলো সেটাই সত্যে পরিনত হলো সময়ের ব্যাবধান মাত্র দেড়ঘন্টা হয়ে মালিক বাবুর সাথে যায় । কিন্ত বাবু ফিরে এলেও জাহাঙ্গীর চলে গেছে টুটপাড়া গোরস্থানে চির দিনের ন্যায়। জাহাঙ্গীর কবির কর্মস্থল আবগারীর দোকানে আসার পর যা কিছুই হয়েছে তা রয়েছে ধামাচাপা এক গভীর অজ্ঞাত রহস্যে ঘেরা । আর এই দোকানে আসার পর জাহাঙ্গীরের সাথে অজ্ঞাতসহ কার কার ধস্তা ধস্তি হয়েছে এবং ধস্তাধস্তির রহস্যের কারিগরদের মুখোষ উন্মোচনে অপেক্ষা করুন । শিগ্রই বেরিয়ে যাবে জাহাঙ্গীর কবির হত্যা রহস্য ।

https://channelkhulna.tv/

আইন ও অপরাধ আরও সংবাদ

খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী রকি গ্রেপ্তার

আন্ত:জেলা নারী পাচারকারী চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার

ফকিরহাটে ইয়াবাসহ মাদক কারবারী গ্রেফতার

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে ফকিরহাটের এক সাংবাদিকের ছেলে

খুলনায় সন্ত্রাসী হাড্ডি সাগর গ্রেপ্তার

দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মৃত্যু

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।