চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় ১৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এই আদেশ দেন।
ইতোমধ্যে নুসরাত হত্যার এই রায় সাড়া ফেলেছে বিশ্বজুড়ে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম এরই মধ্যে রায় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-রয়টার্স, কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা, ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি, আয়ারল্যান্ডভিত্তিক গণমাধ্যম আইরিশ টাইমস, জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেসহ বিশ্বের প্রায় সব গণমাধ্যমই এই সংবাদটি গুরুত্ব সহকারে প্রচার করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে হলো। সাধারণত এ ধরনের বিচার শেষ হতে দেশটিতে কয়েক বছর লেগে যায়। রায় সম্পর্কে আইনজীবী হাফিজ আহমেদ বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে বাংলাদেশে খুন করে কেউ পালিয়ে যেতে পারে না।
আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স নুসরাত হত্যার রায় সম্পর্কিত সংবাদের শিরোনাম করেছে- বাংলাদেশে যৌন নির্যাতনে এক কিশোরী হত্যা মামলায় ১৬ জনের ফাঁসি। এই প্রতিবেদনে নুসরাত হত্যার বিবরণীও তুলে ধরেছে গণমাধ্যমটি।
জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে শিরোনাম করেছে- জীবিত কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যায় ১৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদনে নুসরাত হত্যার বিবরণী এবং হত্যার পর জনরোষের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির শিরোনাম করা হয়েছে- বাংলাদেশে ১৯ বছর বয়সী জীবিত নারীকে পুড়ানোর দায়ে ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ড। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে হত্যার পর জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল সকালে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে আলিমের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে যান নুসরাত। ওই সময় কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে তাকে ডেকে নিয়ে যায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার সহযোগীরা। পরে নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় গত ৮ এপ্রিল নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান (নোমান) সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত। পরবর্তীকালে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।