২০২১ সালের জুলাই থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই চলবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ইতোমধ্যে সংস্থাটি থেকে নিজেদের সদস্যপদ তুলে নেওয়ার নোটিশ জাতিসংঘ মহাপরিচালক আন্তোনিও গুতেরেসের বরাবর পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে চীনের পক্ষে কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- বেশ কিছুদিন ধরেই এমন অভিযোগ করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডব্লিউএইচওকে চীনের ‘পুতুল’ বলেও তিরস্কার করেন ট্রাম্প। গত এপ্রিল-মে মাসের দিকে সংস্থাটিতে অর্থায়ন বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এরপর মে মাসে সরাসরি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার ঘোষণা দেন। আর এবার অফিসিয়াল বা পাকাপাকি ভাবেই নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন।
২০২১ সালের জুলাই থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই চলবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ইতোমধ্যে সংস্থাটি থেকে নিজেদের সদস্যপদ তুলে নেওয়ার নোটিশ জাতিসংঘ মহাপরিচালক আন্তোনিও গুতেরেসের বরাবর পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।
এর ফলে সংস্থাটিতে আর ৪০০-৫০০ মিলিয়ন ডলার চাঁদা দেবে না ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রে যখন করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে, তখনই এমন সিদ্ধান্ত নিল দেশটি। এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে দেশটির আইনজীবী, চিকিৎসা পেশার সঙ্গে জড়িত কর্মী ও মানবাধিকার রক্ষা সংস্থাগুলো।
গ্লোবাল হেলথ কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক লয়েস পেস বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপ্রধানরা পর্যন্ত বলছেন যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে প্রয়োজন আমাদের নিজেরদের জন্যই। অথচ একটা মহামারীর মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট্র। মানুষের জীবন নিয়ে স্রেফ ছিনিমিনি খেলছে তারা।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তকে ‘নিতান্তই নির্বুদ্ধিতা’র বলে মন্তব্য করেছেন ডেমোক্রেটিক হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।
রিপাবলিকান সিনেটর লামার আলেক্সান্ডার ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে অসম্মতি জানিয়ে বলেন, ‘সংস্থাটির কাজ নিয়ে যদি কোন প্রশ্ন বা আপত্তি থাকে, তাহলে কাজের মান উন্নত করা যায় সেটা নিয়ে সুপারিশ আসতে পারে। সেই অনুযায়ী কাজ করা যেতে পারে।’
কোভিড-১৯ এর মতো মহামারী একশ বছরে একবার আসে। কিছুদিন পর যখন মহামারীর প্রকোপ কমে আসবে, তখনকার বিশ্বের জন্য ডব্লিউএইচও’র মতো সংস্থার প্রয়োজনীয়তা আছে। আর তা বিবেচনা না করে যুক্তরাষ্ট্র এমন সিদ্ধান্ত নিল।