আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে কাস্টমস ক্লাব হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের কাস্টমস দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘তথ্য সংস্কৃতি বিকাশ এবং তথ্য ইকোসিস্টেম বিনির্মাণের মাধ্যমে ডিজিটাল কাস্টমসের সম্প্রসারণ’। এতে তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, ডিজিটাল কাস্টমসের সম্প্রসারণ, তথ্য-উপাত্ত চর্চা ও তথ্য প্রতিবেশ।
চলমান করোনা মহামারির কারণে এবারের কাস্টমস দিবসে বড় ধরনের আয়োজন করছে না বেনাপোল কাস্টমস হাউজ। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের নিজস্ব অডিটোরিয়ামে সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার মোঃ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত সেমিনার ও আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, যশোর কাস্টমস কমিশনার, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মাহবুব তালুকদার, পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ মনিরুজ্জামান (উপসচিব), বেনাপোল সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা, সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব শামছুর রহমান প্রমূখ।
প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশসহ ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অরগানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) সদস্যভুক্ত ১৮৩টি দেশে একযোগে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অরগানাজেশন ২৬ জানুয়ারিকে কাস্টমস দিবস হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকে বাংলাদেশ দিবসটি উদযাপন করছে।
১৯৫০ সালের ১৫ ডিসেম্বর ব্রাসেলসে কাউন্সিল অব কাস্টমস কো-অপারেশন (সিসিসি) গঠিত হয়। দুই বছর পর ১৯৫২ সালের ৪ নভেম্বর শুরু হয় এর কার্যক্রম। ১৯৫৩ সাল থেকে ২৬ জানুয়ারি এর প্রথম সেশনে ইউরোপের ১৭টি দেশ উপস্থিত ছিল। সেসব দেশ বিশ্বব্যাপী এর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের সূচনা করে।
১৯৯৪ সালে কাউন্সিল অব কাস্টমস কো-অপারেশনের নাম পাল্টে গঠিত হয় ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অরগানাইজেশন (ডব্লিউএইচও)। বর্তমানে ১৮৩টি দেশ এ সংগঠনের সদস্য। এ সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে ১৯৩টিতে উন্নীতের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।