বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের বেনাপোল ডিগ্রী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সানজিদা আক্তার শ্রাবণীর ওপর কথিত সাংবাদিক ও তার সহযোগিদের হামলা, ফেসবুকে আপত্তিকর পোষ্ট দেয়ার প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৯ জানুয়ারী) বেলা ১১টার দিকে যশোর-কলকাতা মহাসড়কের বেনাপোল কাস্টমস হাউসের বিপরিতে বেনাপোল মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। এতে বেনাপোল ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয়রা অংশ নেয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ খাদিজা আক্তার। তিনি বলেন স্কুল জীবনে শ্রাবনী লেখা পড়াসহ সাংস্কৃতিক চর্চায় মেধাবী ও পারদর্শী ছিলো। তার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কু-রুচিপূর্ন খবর প্রকাশ ও আপত্তিকর বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশ ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ চেয়ে কোন ক্রমেই শিক্ষা জীবন নষ্ট না হয় তার যথযথ পদক্ষেপ গ্রহনের আহবান জানান তিনি।
এ সময় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক নজরুল ইসলাম, স্থানীয় লাবনী আক্তার। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সহপাঠীরা বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত মূলহোতা মুরাদসহ তাঁর সহযোগিদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা দেয়া হবে বলেও হুশিয়ারী দিয়েছেন তারা।
উলে¬খ্য, গত ২৫ ডিসেম্বর বেনাপোল পোর্টথানা এলাকায় মাদক সংক্রান্ত বিষয়ের ভিডিও ধারণের অভিযোগ এনে কথিত সাংবাদিক মাদক ব্যাবসায়ী মুরাদ ও তার সহযোগিরা কলেজছাত্রী শ্রাবনীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করে। পরবর্তীতে ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে উল্টো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে করুচিপূর্ণ লেখা পোস্ট দেয় মুরাদ। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রী শ্রাবণী বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মুরাদ বেনাপোল থানার সাদীপুর গ্রামের আলী আহমেদ নেদার পুত্র। সে “বিডি প্রভাত” নামে একটি অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক বলে এলাকায় পরিচয় দিয়ে বেড়ায়। ঘটনানার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের উলে-খযোগ্য ভূমিকা দেখা যাইনি। মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীরা শ্রাবণী ওপর হামলাকারী ও তার সহযোগীতায় ভিডিও ও কুরুচিপূর্ন সংবাদ প্রকাশকারীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।