সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শনিবার , ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বেহাল সোনাডাঙ্গা-নতুন রাস্তা সড়ক, ভোগান্তিতে নগরবাসী | চ্যানেল খুলনা

হাসপাতাল মুখি রোগীরা ঝুঁকিতে, ছোট-বড় গর্তে ঘটছে দুর্ঘটনা

বেহাল সোনাডাঙ্গা-নতুন রাস্তা সড়ক, ভোগান্তিতে নগরবাসী

খুলনার মুজগুন্নি মহাসড়ক (নতুনরাস্তা মোড় হতে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড) পর্যন্ত বেহাল সড়কে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে বিভিন্ন জেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে আসা মুমূর্ষু রোগী নিয়ে হাসপাতালে পৌঁচ্ছাতে বিলম্ব হচ্ছে। প্রতিনিয়ত সড়কের ছোট-বড় খানাখন্দে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। নতুনরাস্তা মোড় হতে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মহাসড়কটির এই দশা প্রায় দুই বছর ধরে।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নগর উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে মোট ৩১ টি ওয়ার্ড এলাকার ছোট বড় রাস্তা ও ড্রেন সংস্কারের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম থাকলেও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সাথে দক্ষিণাঞ্চলের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সোনাডাঙ্গা হতে নতুনরাস্তা সড়কটি অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়কটি দিয়ে গণ-পরিবহন চলাচল করে। তেমনি একই সড়কে নগরীর দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ও শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে। রয়েছে সরকারি- বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপণা।

খুলনা সিটি করপোরেশনের চিফ প্লাানিং অফিসার আবির-উল-জব্বার কাছ হতে পাওয়া তথ্যনুসারে, কেসিসি’র আওতায় ছোট বড় মিলিয়ে মোট সড়ক রয়েছে ১ হাজার ২১৫টি, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৪১ কিঃ মিঃ। যার মধ্যে সোনাডাঙ্গা হতে নতুনরাস্তা পর্যন্ত (মুজগুন্নি মহাসড়ক) এর দৈর্ঘ্যে প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার।
নগরের মধ্যে যে কয়েকটি গুরুত্ব¡পূর্ণ সড়ক রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হলো মুজগুন্নি মহাসড়ক। প্রতিদিন হাজার হাজার কর্মব্যস্ত মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। গুরুত্বপূর্ণ সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি সর্বশেষ সংস্কার হয় ২০১২ সালে।
রবিবার সরেজমিনে মুজগুন্নি সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সংস্কারের অভাবে খুলনা অত্যতম গুরুত্বপূর্ণ আর চলাচলে ব্যস্ততম সড়কটি থেকে থেকে খানাখন্দে পরিপূর্ণ, অভাব নেই ছোট-বড় গর্তের। ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে। সেই সাথে ইজিবাইকের দখলে পুরো সড়টিতে হেলে দুলে চলছে, বড় গর্তে চাকা পড়ে মাঝে মাঝে উলটে পড়ছে। এতে করে গাড়ীতে থাকা যাত্রীরা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জখমের শিকার হচ্ছের। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিপরীতে বেহাল সড়ক ইজিবাইকসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র যানবহন সৃষ্টি করছে যানজটের। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার একাধীক ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বলে জানা যায়, অ্যাম্বুলেন্স, শত শত ইজিবাইক এবং ঢাকাগামী পরিবহন এই সড়ক দিয়ে যাওয়া-আসা করে। এখন সড়কে বিপজ্জনক অবস্থা। সড়কের বন্য প্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, পূজাখোলা মোড়, বয়রা চিলড্রেন ভয়েস স্কুলের সামনে ও বয়রা মোড়, পুলিশ লাইনের আগে ও পড়ে, মুজগুন্নি পার্কের সামনে তো একলেন বন্ধই, একইরুপ আবু নাসের হাসপাতালের আগে ও পরে আর বিশেষ করে সড়কের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বয়রা বাজার থেকে নতুন রাস্তা মোড় পর্যন্ত মাঝে মাঝে বেশি বেহাল হওয়ায় একলেন বন্ধ হয়ে গেছে।

বাসচালক হামিদুল ইসলাম জানান, বয়রা বাজারের পর থেকে নতুনরাস্তা পর্যন্ত সড়কের অবস্থা অত্যস্ত নাজুক। তারপরও যাত্রীদের গালমন্দ আর গাড়ির ক্ষতি মেনে ওই পথ দিয়েই গাড়ি চালাতে হচ্ছিল। তবে মাস দুই ধরে এতটা খারাপ হয়েছে, ওই পথে আর পরিবহনের গাড়ি চলছে না।
খুমেক হাসপাতালের সামনের ব্যবসায়ী শরীফ জানান, সোনাডাঙ্গা হতে ২৫০ বেড পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। উচু নিচু রাস্তায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে চলছে। পাশাপাশি বেহাল সড়কে ধুলাবালু উড়ে গিয়ে খাবারে খোলা খাবারে পড়ে। এতে নানা প্রকার পেটের অসুখ দেখা দেয়। কারণ হাসপাতালের সামনে খাবারের ব্যবসায়ীরা খাবারের প্রতি তেমন স্বাস্থ্য সচেতন নয়।
দৌলতপুর বাজার ব্যবসায়ী রোমান জানান, হঠাৎ আমার বাবা হার্টএ্যাটাক কওে ৭ নভেম্বর। বাবার হার্টএ্যাটাকের কথা শোনা মাত্র বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ি। দ্রুত তার চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে হাসপাতালে যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পৌঁছনোর প্রয়োজন ছিল বেহাল দশা সড়কের কারণে নতুনরাস্তা হয়ে হাসপাতালে যেতে না পেরে খুলনা-যশোর মহাসড়ক হয়ে বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করি। তবুও তাকে আর ঘরে ফিরিয়ে আনতে পারিনি।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) খুলনা নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. কুদরত-ই-খুদা জানান, খুলনাকে আমরা গ্রীণ সিটি বলি কিন্তু প্রকৃতপক্ষে খুলনা এখনো গ্রীণ আর ক্লিন সিটির আওতায় আসেনি। যার অন্যতম একটি প্রধান কারণ হলো নগরীতে বেহাল সড়কের বেহাল দশা। নগরের বেশির ভাগ সড়কের অবস্থা এখন বেহাল। একেবারে চলাচল অনুপযোগী না হলে রাস্তা মেরামত হয় না সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ হতে। তখন সংস্কার ব্যয় বেড়ে যায়।

অপরদিকে খুলনা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন জাকির বিপ্লব জানান, আমাদের আন্তঃ জেলা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালটি দেশের সকল জেলার সাথে যোগাযোগের প্রধান কেন্দ্র হলেও উল্লেখিত বাসটার্মিনাল সংলগ্ন হতে নতুনরাস্তা পর্যন্ত বেহাল সড়ক দীর্ঘদিন মেরামতের অভাবে কোটি টাকার মূল্য পরিবহনগুলো আজ ঝুঁকির মুখে। তবে যে কোনো মুহূর্তে সড়কে বেহাল দশার কারণে বড় কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ করিম জানান, নতুন রাস্তা হতে বয়রা মোড়, বয়রা মোড় হতে গল্লামারী পর্যন্ত (মুজগুন্নি মহাসড়কের) সংস্কার কাজের ইতিমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। টেন্ডারিং প্রক্রিয়া শেষ হলে তার ১/২ মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে। তিনি আরো জানান, মহাসড়কের পাশাপাশি সড়কের দু’পাশের ড্রেনেরও দরপত্রের আহবান করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২০ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা।

কেসিসি’র প্যানেল মেয়র আমিনুল ইসলাম মুন্না জানান, মুজগুন্নি সড়ক দীর্ঘদিন ধরে বেহাল এ বিষয়ে আমি অবগত। ইতিমধ্যে জনদুর্ভোগ এড়াতে কেসিসি’র মুজগুন্নি সড়কের সংস্কারকল্পে আনুমানিক ২০ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দ্রুতই এ প্রকল্পের দরপত্রের আহ্বান করা হবে।

https://channelkhulna.tv/

খুলনা মহানগর আরও সংবাদ

সোনাডাঙ্গায় অস্ত্র-গুলিসহ সন্ত্রাসী ডাবলু গ্রেপ্তার

‘দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে উন্নয়ন সম্ভব নয়’ ধর্ম উপদেষ্টা

দ্রুত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

খুলনায় পুলিশের এডিসি কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

খুলনা মহানগরে ১০টি স্থানে ভর্তুকিমূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি চলছে

খুলনায় জাপা কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।