চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখে দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের টিপ্পনীর শিকার হয়েছেন দলটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের এমপি রুমিন ফারহানা খালেদা জিয়ার উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখেন। সে চিঠিটি একটি ব্লগে প্রকাশিত হলে সোমবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে বিএনপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে শেয়ার করা হয়। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে শামা ওবায়েদ কমেন্ট করেন, ‘‘ইট ইজ ইজি টু রাইট ‘খোলা চিঠি’ অ্যান্ড টক ইন শো’স বাট ইট ইজ ডিফিকাল্ট টু বি অন দ্য স্ট্রিটস (খোলা চিঠি লেখা এবং টকশোতে কথা বলা সহজ, কিন্তু রাজপথে থাকা কঠিন)।’’
রুমিন ফারহানা জানান, তার চিঠিটি সোমবার একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। পরে ওই চিঠিটি বিভিন্ন ব্লগে পুনঃপ্রকাশিত হয়। খালেদা জিয়ার উদ্দেশে ওই চিঠিতে রুমিন লিখেছেন, ‘কেমন আছেন?’ আর সব চিঠির মতো এই প্রশ্নটা করছি না শুরুতেই। কারণ আপনার ক্ষেত্রে এই প্রশ্নটা ভীষণ অবান্তর। ছয় মাসের মতো হয়ে গেল শেষবার আপনাকে দেখেছি সামনা-সামনি, হাসপাতালের প্রিজন সেলে। কষ্টে ব্যথায় যন্ত্রণায় বারবার কুঁকড়ে যাচ্ছিলেন আপনি। খবর পাই আপনার অবস্থা প্রতিদিন আরও খারাপের দিকে যায়। আপনি খারাপ আছেন, ভীষণ খারাপ আছেন।
চিঠির শেষ দিকে খালেদা জিয়াকে রুমিন ফারহানা লিখেন, এতবড় দল আপনার, কিন্তু দুই বছরের বেশি জেলে থাকার পরও সেই বিশাল দল সরকারকে বাধ্য করতে পারেনি আপনাকে মুক্তি দিতে, এটা ভেবে কি আপনার মনে কষ্ট হয় খুব? আগেই বলেছি, অনেকে ‘কিছু না’ থেকে ‘অনেক কিছু’তে পরিণত হয়েছেন আপনার আশীর্বাদে। আপনার এই দুর্দিনে আমাদের দায়িত্ব আমরা যথাযথভাবে পালন করতে পারিনি—এই অপরাধবোধ আমাকে তাড়া করে বেড়ায় প্রতিটা মুহূর্তে।
রুমিন ফারহানার চিঠিটি বিএনপির ফেসবুক পেজে শেয়ারের পর নেতাকর্মীরাও আগ্রহ নিয়ে বিভিন্ন কমেন্ট করছেন। সেখানেই রুমিনকে টিপ্পনী করে কমেন্ট করেন শামা ওবায়েদ। কমেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে শামা ওবায়েদ বলেন, ‘এটা একটা ব্যক্তিগত মতামত। এর বেশি তো কিছু বলার নেই এখানে।’
এ বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। সবাই যার-যার রুচি-পছন্দ, পারিবারিক শিক্ষা, রাজনৈতিক জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দিয়ে নিশ্চয়ই তার মত প্রকাশ করবে। আমি সব মতামতকে স্বাগত জানাই।
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়ার উদ্দেশে ওই চিঠিতে রুমিন লিখেছেন– ‘কেমন আছেন?’ আর সব চিঠির মতো এই প্রশ্নটা করছি না শুরুতেই। কারণ আপনার ক্ষেত্রে এই প্রশ্নটা ভীষণ অবান্তর। ছয় মাসের মতো হয়ে গেল শেষবার আপনাকে দেখেছি সামনা-সামনি, হাসপাতালের প্রিজন সেলে। কষ্টে ব্যথায় যন্ত্রণায় বারবার কুঁকড়ে যাচ্ছিলেন আপনি। খবর পাই আপনার অবস্থা প্রতিদিন আরও খারাপের দিকে যায়। আপনি খারাপ আছেন, ভীষণ খারাপ আছেন।
চিঠির শেষ দিকে তিনি লিখেন– এতবড় দল আপনার, কিন্তু দুই বছরের বেশি জেলে থাকার পরও সেই বিশাল দল সরকারকে বাধ্য করতে পারেনি আপনাকে মুক্তি দিতে, এটি ভেবে কি আপনার মনে কষ্ট হয় খুব? আগেই বলেছি– অনেকে ‘কিছু না’ থেকে ‘অনেক কিছু’তে পরিণত হয়েছেন আপনার আশীর্বাদে। আপনার এই দুর্দিনে আমাদের দায়িত্ব আমরা যথাযথভাবে পালন করতে পারিনি—এই অপরাধবোধ আমাকে তাড়া করে বেড়ায় প্রতিটা মুহূর্তে।