ইসলামী আন্দেলন বাংলাদেশের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা অঅধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ বলেন, সম্প্রতি ভারতের পানি অগ্রসনের কারণে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষীপুরসহ এতদঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তাতে খুব সহজেই বোঝা যায় পার্শ্ববর্তী দেশ অন্যায়ভাবে বাঁধ খুলে দিয়ে আমাদের বাংলাদেশের নিম্নাঞ্চলগুলোতে ইতিহাসের ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। যা মানবতা বিরোধী অপরাধ। এই অপরাধের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে বলিষ্ঠভাবে এখনই সোচ্চার হতে হবে।
তিনি বলেন, দুই দেশের অভিন্ন ৫৪টি নদীর ৫১টি নদীতে আন্তর্জাতিক নদী আইন অম্যান্য করে ভারত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য উজানে অসংখ্য বাঁধ, ব্যারেজ দিয়েছে এবং ভিন্নখাতে একতরফাভাবে পানি ছাড়ছে ও প্রত্যাহার করছে। ভারতের এই পানি আগ্রাসনের কারণে গোটা বাংলাদেশে আজ বর্ষায় তলিয়ে যাচ্ছে এবং গ্রীষ্মে মরু আকার ধারণ করছে। ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প আন্তর্জাতিক নদী আইনের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে আহ্বান জানান তিনি। সাথে সাথে পানিবন্ধিদের নিরাপদ আশ্রয় ও সার্বিক সহযোগীতা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকাল তিনটায় খুলনার রুপসা সেনের বাজার চত্তরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা ও মহানগর শাখা এর যৌথ উদ্যোগে ছাত্র জনতার ওপর গণহত্যায় জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার ও হতাহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা, সকল দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের বিচার ও পাচরকৃত অর্থ ক্রোপ করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা, নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন সংখ্যানুপাতিক ( চজ) পদ্ধতি চালুসহ
চরমোনাই পীরের ঘোষিত সাত দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন এর দাবিতে আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে যারা এদেশে ক্ষমতায় এসেছে তারাই মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে। মানুষ ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শাসনের কোন বিকল্প নেই।
সভাপতিত্বের বক্তব্যে অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান বলেন, দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে এই দেশে যারা অতীতে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিল তাদেরকে মানুষ বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। দেশের জনগণ এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় নুতন মুখ চায়। জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণে ইসলামী আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। তিনি সমাবেশে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে পাড়ায় মহল্লায় ইসলামী আন্দোলনের দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ ইমরানের সভাপতিত্বে নগর সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হোসাইন ও জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিবের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তৃতা করেন নগর সহ-সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ, শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, জেলা সহ সভাপতি মাওলানা মোহাঃ মুজিবুর রহমান, শেখ জামিল আহমেদ মাওলানা শাইখুল ইসলাম বিন হাসান, শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, মোঃ রেজাউল করিম, মোঃ আবু গালিব, আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম, মাওলানা দ্বীন ইসলাম,মাওলানা আঃ সত্তার মাওলানা সাইফুল ইসলাম,হাফেজ মাওলানা মুফতী আশরাফুল ইসলাম, মোঃ হুমায়ুন কবির, মোহাঃ মুহিব্বুল্লাহ, আলহাজ্ব আবুল কাশেম, মোঃ নিজাম উদ্দিন মল্লিক, এ্যাডঃ কামাল হোসেন, মাওঃ আসাদুল্লাহ হামিদি, এইস এম এনামুল হাসান সাঈদ মাওঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা মাহবুবুল আলম, বীরমুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রওশান আলী,আলহাজ্ব সরোয়ার হোসেন আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, হাফেজ আব্দুল লতিফ, মাওলানা নাছিম উদ্দিন শেখ, মোল্লা রবিউল ইসলাম, এস.এম শাহিন হোসেন, এইচ এম আরিফুল ইসলাম, গাজী ফেরদাউস সুমন, মুফতী মইনুল ইসলাম, মোঃ ওলিয়ার রহমান মোঃ মারুফ হোসেন, মোঃ শফিকুল ইসলাম দাকোপ, আলঃ শফিকুল ইসলাম মাওলানা হারুন অর রশিদ -মোঃ তরিকুল ইসলাম দবির, মোঃ নুরুল হুদা সাজু – মাওঃ আবু সাঈদ, মোঃ ইউসুফ আলী, মোঃ আকিছুর রহমান-মোঃআশরাফ আলী,আলঃ আবু দাউদ, হাফেজ কারিমুল ইসলাম গাজী মোঃ নূর ইসলাম মোঃ শামিম হোসেন মাষ্টার মঈনুদ্দিন ভুইঁয়া, মাওলানা হাফিজুর রহমান, ইসমাঈল হোসেন, শিক্ষকনেতা রবিউল ইসলাম রাফে, মাওলানা মাহবুবুল আলম, যুবনেতা মুফতী আব্দুর রহমান মিয়াজী, মুফতী ফজলুল হক, যুবনেতা ইমরান হোসেন মিয়া, যুবনেতা আব্দুর রশিদ, যুবনেতা এসকে নাজমুল হাসান, শ্রমিকনেতা আবুল কালাম আজাদ, শ্রমিকনেতা, মোঃ রেজাউল করীম মাওলানা ইলিয়াস হুসাইন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ছাত্রনেতা মুহাম্মাদ মঈনুদ্দিন, ছাত্রনেতা এস.কে আবু রায়হান, ছাত্রনেতা মোঃ ফরহাদ মোল্লা মুহাম্মাদ নাইম ইসলাম, ছাত্রনেতা মাহাদী হাসান মুন্না প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ১৮ কর্মীসহ সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের পূর্ণ সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।