চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃএকটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। তাদের ভাষ্য, ভিপি নুরকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ফোনালাপ সাজানো নাটক। এগুলো দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। নুরের পদত্যাগের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের একাংশের মানববন্ধন, নুরের কক্ষে তালা ও কুশপুত্তলিকা দাহ করা নিয়েও সমালোচনা করেছেন তারা।মাহফুজুর রহমান খান নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, নুরুল হক নুরকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে দেশের মানুষ একত্রিত হয়ে তা রুখে দিবে। ষড়যন্ত্র করে ভালোবাসা কমানো যায় নারে পাগলা বরং বেড়ে যায়। নাঈমা ত্বাকি বলেছেন, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হচ্ছে নুর, তার পেছনে তো লাগতেই হবে! কিন্তু কথা হলো, লাভ নাই, নুর এক পিস হলেও সে কিন্তু একা না। মো. সোহরাব হোসেন লিখেছেন, নুরের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে কেউ কান দেবেন না। নুরের টাকার লোভ থাকলে সরকারের বাড়ি গাড়ির লীগের পদপদবীর অফার ফিরিয়ে দিতেন না। আবদুল হাশেম নামের একজন লিখেছেন, নুরের বিরুদ্ধে কাটছাট করে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে নুরকে পরাজিত নয়, বরং নুর হবে দ্বিগুন শক্তিশালী। মামুন আরমান লিখেছেন, ভিপি নুরকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সাজানো নাটক। পূর্বের ন্যায় ধারাবাহিকভাবে চলছে। আভির লিখেছেন, এদেশে ভালো মানুষ টিকে থাকতে পারবে না, চিন্তা করা যায় সরকার কত নিখুঁতভাবে একটা সুন্দর প্রতিভা ধ্বংস করে দিচ্ছে। সিরাজুল ইসলাম লিখেছেন, ভিপি নুর দেশের কল্যাণে জনগণের পক্ষে, ডাকাতদের মুখোশ উম্মোচনকারী নির্ভীক প্রদীপ, নিভতে দেয়া যায় না। নুরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখতে দেশের আপামর জনগণকে এগিয়ে আসা উচিত।
মাহী উদ্দিন লিখেছেন, এটাই বাংলাদেশ। শতশত ফোন আলাপ ফাঁস হলো। শতশত গুম হলো। শতশত কোটি টাকা ভুয়া ভাউচার করে নিয়ে গেলো। পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজি। কোনো কথা নেই একটা ফোনালাপ কতটা সত্য তার কোনো সঠিকতা নেই। কান না দেখে আমরা চিলের পেছনে দৌড়।মো. ফজল বলেছেন, নুর ভাই সত্য কথা বলার কারণে ছাত্রলীগের সহ্য হয় না। জসিম উদ্দিন লিখেছেন, এরা মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ নয়, এরা সরকারের দালাল মঞ্চ। মাজহারুল রুবেল নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘুষ নিয়ে সাদ্দাম আর রাব্বানীর ফোনালাপ ফাসেঁর এদের অবস্থান কি ছিল?
এর আগে মঙ্গলবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস করা হয়। অডিওতে ডাকসু ভিপিকে জনৈক এব ব্যক্তির সঙ্গে ব্যবসায়িক কথাবার্তা বলতে শোনা গেছে। এছাড়া প্রবাসে এক বাংলাদেশির সঙ্গে টেলিফোনে টাকা লেনদেনের বিষয়ে কথা বলতে শোনা গেছে তাকে। অডিওতে আরও বলতে শোনা গেছে, ওই ব্যক্তি ভিপি নুরকে ইমেইল অ্যাড্রেসসহ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর পাঠাতে বলেছেন। এদিকে ফাঁস হওয়া ফোনালাপের একটি কণ্ঠ যে তারই তা ইতিমধ্যে স্বীকার করেছেন ভিপি নুর। বিষয়টি পরিস্কার করতে ভিপি নুর মঙ্গলবার রাতেই ফেসবুক লাইভে আসেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, তার ফোনালাপকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আংশিকভাবে প্রচার করা হয়েছে। এমন কাজ সাংবাদিকতার নীতিবিরোধী। অডিও ক্লিপ প্রসঙ্গে নুর বলেন, ‘আমার একটি ফোনালাপ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমার পুরোপুরি কথা না শুনিয়ে কিছু অংশ কেটে প্রচার করেছে, যা সাংবাদিকদের নৈতিকতার সঙ্গে যায় না। আমি এর বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদলিপি ও উকিল নোটিশ পাঠাব।