চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃস্থায়ীভাবে ভাঙন রোধসহ বহুমুখী উদ্দেশ্যে নগরীর ভৈরব ও রূপসা নদীর ১ কিলোমিটারের অধিক তীর ঘিরে প্রকল্প গ্রহণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে প্রটেকটিং ওয়াল, ওয়াকওয়ে ও দৃষ্টিনন্দন ঘাট নির্মাণ। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ৭০ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। ২০২০ সালের জুনের মধ্যেই সকল কাজ সমাপ্ত হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছে, এটি বাস্তবায়ন হলে সরকারি স্থাপনা ও তীর স্থায়ীভাবে সুরক্ষা পাবে। পাশাপাশি নদীর কূলে নির্মল বাতাসে হাঁটা-হাঁটি করাসহ বিনোদনের জন্য নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ভাঙনের কবলে পড়েছে মহানগরীর খালিশপুরস্থ বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী (বানৌজা) তিতুমীর সংলগ্ন ভৈরব নদ ও রূপসা নদীর তীর। অব্যাহত ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বাউন্ডারী ওয়াল ও গাছ-পালা। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার বেসরকারি বাসভবনসহ মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের দপ্তর, বিচারক, ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের বাসভবন ও বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা। সরকারি বেসরকারি এসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষার্থে ও ভাঙন প্রতিরোধে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নৌ-বাহিনী (বানৌজা) তিতুমীর সংলগ্ন ৪৯০ মিটার ভৈরব নদ ও সরকারি স্থাপনা সংলগ্ন ৫৯০ মিটার রূপসা নদীর তীরে জিও ব্যাগ ও জিও টেক্সটাইল দিয়ে স্থায়ী প্রতিরক্ষায় প্রটেকটিং ওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি দুই নদীর ৮২০ মিটার তীরে নির্মাণ করা হচ্ছে ওয়াকওয়ে। এ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ২ লাখ ৩১ হাজার ব্লক ও ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫০৯টি জিও বস্তা। এছাড়া রুজভেল্ট জেটি এলাকায় ২১২ মিটার তীর সংস্কার এবং ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের বাসভবণ সংলগ্ন নদীর তীরে তিনটি দৃষ্টিনন্দন ঘাটও তৈরি করা হচ্ছে।
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কৃষ্ণ পদ দাস ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাজী হায়াৎ মাসুদ বলেন, ইতোমধ্যে প্রকল্পের শতকরা ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে সকল কাজ সমাপ্ত হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নদীর ভয়াবহ ভাঙন কবলিত জায়গা স্থায়ীভাবে রক্ষা করা সম্ভব হবে। বিশেষ করে ঝুঁকিতে থাকা সরকারি স্থাপনা ও কোটি কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা পাবে। এছাড়া বিনোদনের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে। যেখানে নির্মল বাতাসে হাঁটা-হাঁটিসহ বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে।