শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে মধ্যরাতে মশাল মিছিল করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে এই মশাল মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে দায়ী করে তার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
মশাল মিছিলে ‘জ্বালো, জ্বালো, আগুন জালো’, ‘ফরিদের গদিতে, আগুন জ্বালো এক সাথে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমার ভাই আহত কেন প্রশাসন জবাব চাই’, ‘এক-দুই-তিন-চার, ফরিদ তুই গদি ছাড়’, ‘স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন জ্বালো এক সাথে’ ইত্যাদি শ্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ক্যাম্পাস।
কয়েক দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে অনশনে বসেছেন ২৪ শিক্ষার্থী। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটকের সামনে অনশন শুরু করেন তারা। তারা এ হামলার জন্য উপাচার্যকে দায়ী করে তার অপসারণ দাবি করছেন তারা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭ জন শিক্ষার্থীকে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শমতে কিছুক্ষণ পরপর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
জানা গেছে, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন, জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজে একজন ও মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে একজন ভর্তি রয়েছেন।
অনশনরতদের মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার মধ্যে ৭ জন হাসপাতালে ও ১২ শিক্ষার্থীকে আন্দোলনস্থলেই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সও।
এদিকে গত রোববার (১৬ জানুয়ারি) পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের ঘটনায় দুই থেকে ৩০০ অজ্ঞাত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মামলার এজাহারে লেখা হয়েছে- আন্দোলনরত ২-৩শ উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী হঠাৎ কর্তব্যরত পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তারা সরকারি আগ্নেয়াস্ত্র ধরে টানাটাানি করে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। চারদিক থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়ে। এছাড়া পুলিশের ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।