চুয়াডাঙ্গায় অপহরণের ৮ দিন পর কিশোর সাকিল আহমেদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের একটি আমবাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সাকিল যাদবপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী আবদুল কুদ্দুসের ছেলে।
সাকিলকে অপহরণের পর চক্রটি মুক্তিপণ বাবদ মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। নিহত সাকিল আহমেদ (১৫) মাছের ব্যবসা করত।
দর্শনা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে অপহরণকারী চক্র সাকিলকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা যাবদপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার একটি আমবাগানে নিয়ে খাবারের সাথে ঘুমের বড়ি খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ বাগানে গর্ত করে পুঁতে রাখে ও আমের ডাল দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
নিহতের মা এ ঘটনায় ২০ ডিসেম্বর দর্শনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশ ফোনকল ধরে অপহরণ চক্রের মূলহোতা রাজিবসহ তার অন্য দুই সহযোগীকে আটক করে কুষ্টিয়া ও যশোর থেকে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণের ৮ দিন পর শনিবার দুপুরে সাকিলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।