মোংলা প্রতিনিধি:: মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক এবং পরাজিত প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রমূলক উত্থাপিত নানান অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত এ শুনানীতে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো: রাহাত মান্নান, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন, ইউপি মেম্বর এম নুরুল আমিনসহ অন্যান্য মেম্বর এবং ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কয়েক’শ সুবিধাভোগী সাধারণ বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
শুনানীর বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো: রাহাত মান্নান বলেন, সোমবার শুরু হওয়া তদন্ত চলমান রয়েছে। এটি শেষ হলে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। তবে তদন্তের প্রথম দিনে ইউপি সদস্য এম নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে যারা নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন তারা সে সকল অভিযোগের কোন তথ্য প্রমাণ উত্থাপন করতে পারেনি। ফলে মেম্বরের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের তেমন কোন সত্যতাও মেলেনি।
ইউপি সদস্য এম নুরুল আমিন বলেন, আমি ৮ জন প্রতিদ্বন্ধীর সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা করে মেম্বর নির্বাচিত হই। সেই থেকে আমার নিবার্চনী ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে হয়রানী ও সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য তাদের অনুগত লোক দিয়ে মিথ্যা কাল্পনিক অভিযোগ সাজিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করে। প্রতিপক্ষের সাজানো সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সোমবার এ গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। যারা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলো তারা শুনানীতে উপস্থিত হয়ে সেই অভিযোগের সতত্যা প্রমাণ করতে পারেনি।
সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: কবির হোসেন বলেন, ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বর এম নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তার রাজনৈতিক ও পরাজিত প্রতিপক্ষরাই ষড়যন্ত্রমুলকভাবে এ মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপিত করে। তবে অভিযোগকারীরা সে সকল অভিযোগের কোন প্রমাণ দিতে পারেনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইউপি মেম্বরের বিরুদ্ধে সরকারী অনুদান ও ত্রাণ বন্টনে নানা অনিয়মসহ অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে স্থানীয় একটি প্রতিপক্ষ চক্র বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার এই গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়।