মোংলা পৌর মহিলা কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র যুবলীগ নেত্রী শিউলী আকন এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেনের মালিকানাধীন মেসার্স ইকবাল এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবীর এ অভিযোগ উঠে। চাঁদার ইস্যুতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর সভার প্যানেল মেয়র পরস্পর বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। আর এ ঘটনাটি পৌর শহর জুড়ে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। এদিকে চাঁদা দাবীর অভিযোগ তুলে মেসার্স ইকবাল এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মোঃ লিটন মোংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মোংলা থানায় জমা দেয়া লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, পৌরসভার মার্কেট র্নিমাণসহ প্রায় ৫০ কোটি টাকার উন্নয়নমুলক কাজ করছে এ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। গত ১৬ জানুয়ারী পৌর নিবার্চনে যুবলীগ নেত্রী শিউলী আকন সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯ ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর নিবার্চিত হয়ে প্যানেল মেয়র মনোনীত হন। পরবতর্ীতে শিউলী আকনের স্বামী হাসান আকন ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বাড়তি সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। আর চাহিদার এ টাকা না দিলে পৌরসভার কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে জানান। এক পর্যায় গত ১১ মে ঈদুল ফিতরের আগে হাসান আকনকে ৫০ হাজার টাকা দেয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে নারী কাউন্সিলরের স্বামী ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইকবাল হোসেনের কাছে আরও ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করাসহ তাকে নানাভাবে হুমকি দেয়। পরবর্তিতে এ বিষয়টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়।
এ বিষয় মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার লিটন চাঁদা দাবীর অভিযোগ তুলে পৌর কাউন্সিলর শিউলী ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া কাউন্সিলর শিউলী আকন মারধরের ঘটনা উল্লেখ করে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পাল্টা লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরস্পর বিরোধী অভিযোগ দুইটি পুলিশ তদন্ত করছে। এদিকে নেতা ও নেত্রীর পরস্পর বিরোধী অভিযোগ ও অবস্থান নেয়ার বিষয়ে শহরে জুড়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে ছড়াচ্ছে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে চলছে পাল্টা-পাল্টি লেখালেখীর আক্রমণ।
এ ব্যাপারে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, তাকে ব্যবসায়ীক ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে কাউন্সিলর শিউলী আকন ও তার স্বামী হাসান আকন তাদের দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত আর অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আর এর নেপথ্যে তার প্রতিপক্ষ একটি প্রভাবশালী মহল নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
অপরদিকে উত্থাপিত অভিযোগ প্রসঙ্গে পৌর কাউন্সিলর শিউলী আকন বলেন, স্বামীসহ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।