সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা রবিবার , ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
মোংলা বন্দরে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী | চ্যানেল খুলনা

মোংলা বন্দরে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী

বিশ্ব অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতিতে সব সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে চলছে মোংলা সমুদ্র বন্দর। জাহাজ আগমন, কার্গো হ্যান্ডলিং, রাজস্ব আয় সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় রয়েছে এ সমুদ্র বন্দর। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন শিল্প কারখানা,সম্প্রসারিত হয়েছে ব্যবসা বাণিজ্য। ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল তথা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে এ বন্দর।

বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোংলা বন্দর অর্জন করেছে অনেক কিছুই। তারমধ্যে অন্যতম হলো- জাহাজ আগমন: ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮২৭ টি জাহাজ এসেছিল অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮৪৬ টি জাহাজ এসেছে অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছরের মোট ১৯ টি জাহাজ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে জাহাজ আগমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৪০ টি অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ০৬ টি জাহাজ বেশি এসেছে। গাড়ি আমদানি: ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের মোট গাড়ি আমদানি হয়েছিল ১৩৫৭৬ টি অন্যদিকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৫৩৪০ টি গাড়ি আমদানি হয়েছে অর্থাৎ এ বছরে ১৭৬৪ টি গাড়ি বেশি আমদানি হয়েছে। গত ১০ বছরে এ বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত গাড়ির সংখ্যা ১০৭৮৫৯৭৯ (এক কোটি সাত লক্ষ পঁচাশি হাজার নয় শত উনআশি) টি। কার্গো হ্যান্ডলিং: ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯৯.০৫ লক্ষ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিং করা হয়েছিল। অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১০৮.৬৮ লক্ষ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। কন্টেইনার হ্যান্ডলিং: ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট ২৬৫৮৩ টিইইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছিল। অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ৩১০৪৪ টিইইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। রাজস্ব আয়: ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট ৩০২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ৩১৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে । পূর্ববর্তী অর্থ বছরের তুলনায় চলতি অর্থ বছরের অর্জিত রাজস্ব আয় ২৮.৫৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্ব ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মোংলা বন্দরের গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এ বন্দর দিয়ে ৮৪৬ টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন করে। রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি হয় ১৫,৩৪০ ইউনিট। এ সময়ে কার্গো হ্যান্ডলিংও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল সূচক পজিটিভ ধারায় থাকার ফলে বন্দরে নিট মুনাফা ২৮.৫৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়াও পদ্মা সেতুর কারণে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের মহাকর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। এ বন্দর থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও তার পার্শ্ববতী জেলা থেকে পণ্য আনা নেয়া করার ক্ষেত্রে বন্দর ব্যবহারকারীদের সময় এবং অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। পদ্মা সেতুর কল্যাণে রাজধানীর সব থেকে কাছের বন্দর হওয়ায় মোংলা হয়ে পোশাকশিল্পের বিভিন্ন পণ্যও যাচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। মোংলা বন্দরের সাথে রেল সংযোগ স্থাপন করায় পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে নবদিগন্তের সূচনা হতে যাচ্ছে। মোংলা বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিং দ্রুত ও নিরাপদ হওয়ায় বিদেশি ব্যবসায়ীরাও এ বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন ফলে এই বন্দর দিয়ে এখন পণ্য আমদানি-রপ্তানি বেড়ে চলেছে। পণ্যগুলোকে নিরাপদ ও নির্বিঘেœ আমদানি-রপ্তানি করার ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরও সার্বিক দিক দিয়ে প্রস্তুত রয়েছে।

মোংলা বন্দরে বর্তমানে ৫টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পগুলো শেষ হলে এ বন্দও ব্যবহারের সুযোগ সুবিধা বাড়বে কয়েকগুন। মাংলা বন্দরের আধুনিক বর্জ্য ও নিসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গঅজচঙখ কনভেনশনের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা পালন, জাহাজের বর্জ্য সমুদ্রে এবং নদীতে নিক্ষেপ রোধ, সামদ্রিক পরিবেশকে দূষণ থেকে রক্ষা করা যাবে, মোংলা বন্দরে আগত সমুদ্রগামী জাহাজের বর্জ্য দূষণ থেকে সুন্দরবনকে রক্ষা করা যাবে। সেই সাথে পশুর চ্যানেল ও মোংলা বন্দরের আশেপাশের নদ নদীসমূহ নিঃসৃত তেল হতে দূষণ মুক্ত রাখা সম্ভব হবে। মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নিরাপদ চ্যানেল বিনির্মাণ, সমুদ্রগামী জাহাজ সুষ্ঠুভাবে হ্যান্ডলিং এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জরুরি উদ্ধার কার্য পরিচালন করা সম্ভব হবে। পশুর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং: প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দরে জেটি পর্যন্ত ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিং এর সুবিধা সৃষ্টি হবে। এতে বন্দরের সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
আপগ্রেডেশন অব মোংলা পোর্ট প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বার্ষিক ১.৫০ কোটি টন কার্গো, ৩.৫০-৪.০০ লক্ষ টিইইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। এতে করে বন্দরের কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্ট, সিএন্ডএফ এজেন্ট, স্টিভেডরিং এবং শ্রমিক শ্রেণির জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
মোংলা বন্দরের ২টি অসম্পূর্ণ জেটি নির্মাণ (পিপিপি এর মাধ্যমে) প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বার্ষিক ১ লক্ষ টিইইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। এতে করে বন্দরের কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্ট, সিএন্ডএফ এজেন্ট, স্টিভেডরিং এবং শ্রমিক শ্রেণির জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

https://channelkhulna.tv/

অর্থনীতি আরও সংবাদ

রূপালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও হলেন ওয়াহিদুল ইসলাম

বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি ও যাতায়াত স্বাভাবিক

মোংলা বন্দরের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

বেনাপোল স্থলবন্দরে ৯ দিনে ভারত থেকে এলো ১৩৪০ মেট্রিক টন চাল

শুল্কমুক্ত সুবিধায় ৪ দিনে ভারত থেকে ৭২৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি

১৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৫ হাজার কোটি টাকা

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।