চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের মোংলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। মোংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি ১৪ জাহাজকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। রাতেই সভা করে বন্ধ রাখা হয়েছে বন্দরের কার্যক্রম।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল শুক্রবার থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হলেও শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ির বাইরে যাচ্ছে না।
অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে নৌবাহিনীর চারটি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়াল অ্যাডমিরাল আবু মুছা। একই সঙ্গে কোস্টগার্ডও সুন্দরবন উপকূলের ১০টি পয়েন্টে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে দুবলার চরে রাস মেলায় থাকা পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলাম জানান, রাতেই উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে মাইকিং করে আশ্রয় কেন্দ্র আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে সকাল পর্যন্ত কেউই আশ্রয় কেন্দ্র আসেননি। বিশেষ করে শরণখোলা ও মোংলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের দ্র্রুত সময়ের মধ্যে উপকূলের মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩০ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট ও সাড়ে ৪ মেট্রিকটন চাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলার ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে ১০টি মেডিকেল টিম, ১০টি কন্ট্রোল রুম কাজ করছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান জানান ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলায় সুন্দরবনের সকল কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের নিরাপদে থেকে বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাস পূর্ণিমাকে সামনে রেখে ১০ নভেম্বর থেকে সুন্দরবনের আলোরকোলে শুরু হতে যাওয়া ৩ দিনব্যাপী রাস উৎসব বন্ধ ঘোষণা করে সেখানে থাকা পর্যটকদের কোস্টগার্ডের সহায়তায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মাইকিং করে সুন্দরবনে ঢুকতে নিষেধ করা হচ্ছে।