বাগেহাটের মোরেলগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে হামলায় উভয় পক্ষের আহত হয়েছে ১২ জন। আহতদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার কাইয়ুম শিকাদার বাদি হয়ে রফিকুল শেখসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাতে উপজেলার কামলা বাজারে। আহতরা সকলেই আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। জানাগেছে, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার দীর্ঘদিনের শত্রুতা জের ও ইউপি নির্বাচনের সমর্থককে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা শাহিন শিকদার ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রফিকুল শেখের সাথে বিরোধের সূত্র ধরে এ হামলা হয়। আহতরা হলেন কাইউম শিকদার(৪৩), শাহিন শিকদার (৩৫), বিপ্লব শিকদার (৪০), সোহেল শিকদার (৩০), শফিকুল শেখ( ২৮), আবুল কালাম শেখ (২৮), রফিকুল ইসলাম শেখ(৫২), ফারুক শেখ(৩৫) ও বেলায়েত শেখ(৩৫) এদের মধ্যে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিপ্লব শিকদার ও কাইয়ুম শিকদার। অন্য আহতদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থগিত হওয়া রামচন্দ্র্রপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কামলা বাজারে দু’দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ দিকে সংঘর্ষের বিষয়ে স্থগিত থাকা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী হুমায়ুন কবির পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি অশান্ত করার জন্য বহিরাগত লোকজন নিয়ে নৌকার কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। দীর্ঘদিনের এলাকায় আধিপত্য বিস্তারেরও জের রয়েছে এ হামলায়।
অপরদিকে দলের নমিনেশন বঞ্চিত বিদ্র্রোহী প্রার্থী হুমায়ুন কবির বলেন, কোন কারন ছাড়াই নৌকা সমর্থকরা তার কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আহত রফিকুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যানের বহিরাগত লোকজন তাদের ওপর এ হামলা চালিয়েছে।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নিকটস্থ ফাঁড়ি ও থানা থেকে পুলিশের টিম পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। কাইয়ুম শিকদার বাদি হয়ে রফিকুল ইসলাম শেখসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।