এম.পলাশ শরীফ:: সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন পরিবর্তন হলেও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি জেলে পেশার মানুষের। সাগরে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা ৬৫দিন। পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে চলবে তাদের সংসার। জেলেদের চোঁখে জল, সংসার অচল।
সরেজমিনে এমন জেলে পল্লীর বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব চন্ডিপুর পশুরিপাড়া, খাউলিার আমতলী, কুমারখালী, সন্ন্যাসী মধ্য বরিশাল, ফাসিয়াতলা,সদর ইউনিয়নের গাবতলা, বলইবুনিয়ার শ্রেনীখালী, বারইখালী কাশমির, পুটিখালীর সোনাখালী, গজালিয়া ও পঞ্চকরন ইউনিয়নের কুমারিয়াজোলা এরকম একাধিক জেলে পল্লীতে বসবাস হাজার হাজার জেলে পরিবারের। এসব জেলেরা অবকাশ সময় পার করছেন।
কথা হয় খাউলিয়া গ্রামের হৃদয় দাস, গাবতলা গ্রামের রুবেল হাওলাদার, রাজিব তালুকাদার, রুমান তালুকদার, ইব্রাহিম শেখ সহ একাধিক জেলেদের সাথে। ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ৬৫দিন সাগরে তাদের মাছ ধরা বন্ধ। বাড়িতে বসে জাল বুনছে, নৌকা মেরামত করছেন। সকলের মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। সরকারিভাবে জনপ্রতি ৮৬ কেজি চাল পেলেও তাতে কি সংসার চলে। এ রকম নানা প্রশ্ন তুলেন সংবাদকর্মীদের সামনে জেলেরা। বিকল্প পেশায় যেতে পারছেন না তারা। তাদের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি তাদেরকে বিনা সুদে লোন দক্ষ প্রশিক্ষনের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করার জোর দাবী জানান।
এ দিকে খোজ নিয়ে জানাযায়, এ উপজেলায় নিবন্ধনকৃত মৎস্য জেলে রয়েছে প্রায় ৯ হাজার ৬৪৩ জন। এদের মধ্যে সাগরে মাছ ধরা নিয়োজিত পেশাদার জেলে ৩ হাজার। ঝাটকা আহরণ থেকে বিতরকারি ৩২শ’ জেলে। সরকারিভাবে ভিজিএফ’র আওতায় ৬৫ দিনে জনপ্রতি ৮৬ কেজি করে চাল এবং ঝাটকা আহরণে বিরতকারি ৪ মাসে ১৬০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন এ সব সুবিধাভোগী জেলেরা।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন শেখ বলেন, মৎস্যজীবীদের জীবনযাত্রার মানন্নোয়নে সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে নিবন্ধিত মৎস্যজীবীদের সন্তান ও পোষ্যদের জন্য ১০ শতাংশ কোঠা সংরক্ষণ, মৎস্য ব্যাংকের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত ব্যক্তিকে জামানত বিহীন সুদ মুক্ত লোন প্রদানের ব্যবস্থা করা, জেলা উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, উপকূলীয় অঞ্চলসহ সকল চরাঞ্চল এলাকায় মৎস্য পল্লী নামে আবাসন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলাসহ ১১ দফা প্রস্তাবনা সরকারের মৎস্য দপ্তরে প্রনায়ণ করা হয়েছিলো এর মধ্যে দু’ একটি বাস্তবায়ন হলেও বাকি দাবিগুলো বাস্তবায়িত হয়নি। এ দাবি বাস্তবায়ন হলে মৎস্যজীবীদের সামাজিক অর্থনৈতিক জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
এ সর্ম্পকে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, সাগরে ৬৫দিন মাছ ধরা থেকে বিতরকালিন জেলেসহ সকল সুবিধাভোগী জেলেদের সরকারিভাবে বরাদ্ধকৃত ভিজিএফ’র চালের পরিমান বৃদ্ধি প্রস্তাবনা তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের পাঠানো হয়েছে।
পাশাপাশি উপকরনসহ আনুসাঙ্গীক খরচ জোগান দিতে নগদ অর্থ প্রদানেরও মৎস্য সম্পদ মন্ত্রনালয়ে পরিকল্পনা রয়েছে।