বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্ত্রীকে কুপিয়ে মামলা মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় নিরপরাধ এক ব্যাক্তিকে পুলিশ ইতোমধ্যে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৬ মার্চ রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে চরহোগলাবুনিয়া গ্রামে। ঘটনার শিকার দুই সন্তানের মা জখমী গৃহিনী লিপি বেগম(৩৫) এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন।
ঘটনার সময় রাত ৮টার দিকে মসজিদের হিসাব নিকাশ নিয়ে বাকবিতন্ডা হয় লিটন ও আসাদ তালুকদারের সাথে তাদের চাচাতো ভাই মোস্তফা, তরিকুল ও নাইম তালুকদারের সাথে। ওই ঘটনার পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আসাদ তালুকদার তার স্ত্রী লিপি বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ঘরের পাশে ফেলে রাখেন। খবর শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসলেও তাদেরকে ওই সময় বাড়ির মধ্যে ঢুকতে দেননি লিটন।
গুরুতর জখম অবস্থায় লিপি বেগম ঘরের পাশে পড়ে থাকেন। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় সেখানে। রাত ১২টার দিকে তাকে নেওয়া হয় মোড়েলগঞ্জ হাসপাতালে। সেখান থেকে পাঠানো হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরদিন ১৭ মার্চ লিপি বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় ১৭ মার্চ লিটন তালুকদার বাদি হয়ে প্রতিপক্ষের তিন জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২০, ১৭.৩.২০২২। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি মোস্তফা তালুকদারকে গ্রেফতার করেছে।
বিনা অপরাধে মোস্তফা তালুকদার অপরাধে গ্রেফতার হওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় এমদাদুল হাওলাদার, আবুবকর হাওলাদার, এমাদুল মাতুব্বর, রেক্সনা বেগম, আকলিমা বেগম জানান, মসজিদ নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়েছে। এর পরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে লিপি বেগমকে তার স্বামী কুপিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। লিপি বেগম একটি ভাসমান পরিবারের মেয়ে। প্রায়ই তাকে মারপিট করেন স্বামী আসাদ। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কলহ লেগে আছে বলেও স্থানীয়রা জানান।
এ সম্পর্কে থানার ওসি মো. শাহজাহান আহমেদ বলেন, মামলার সূত্র ধরে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন কথাও শুনেছি। প্রকৃত ঘটনা বিস্তারিত তদন্তে বের হয়ে আসবে।