এম.পলাশ শরীফ :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ঘের বিরোধের জের ধরে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসি। সোমবার বেলা ২টার দিকে হরগাতি, হেড়মা ও ঢুলিগাতী গ্রামের শতাধিক নারী পুরুষ হরগাতি গ্রামে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোরশেদা আকতার উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রবিবার দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত আওয়ামী লীগ কর্মী রশিদ খান মারা গেছেন এমন গুজব খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই আনোয়ারের বসতবাড়িতে হামলা চালায় স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ঘের বিরোধের জের ধরে রবিবার বেলা ৯টার দিকে ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন খানকে(৩৮), তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম(২৫) ও লিটনের চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুর রশিদ খানকে(৬০) কুপিয়ে গুরুতর জখম করে একই গ্রামের তার প্রতিপক্ষের লোকেরা। হামলাকারিরা রশিদ খানের পা ভেঙ্গে দেয়, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পেটের নাড়িভূড়ি বেরিয়ে যায়, লিটনের একটি পা ভেঙ্গে দেয়, ডান হাতের একটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন ও লিটনের স্ত্রীর কান টেটে যায়।
স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগেরহাট ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিন মধ্যরাতে রশিদ খান হাসপাতালে মারা গেছেন এমন গুজর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই গ্রামবাসি ‘হামলাকারি’ আনোয়ার হাওলাদারের বসতঘর ভাঙচুর করে মাটিয়ে মিশিয়ে দেয়। আজ সোমবার ক্ষুব্ধ এলাকাবাসি আনোয়ার হাওলাদারের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভ কারিরা এ সময় বলেন, আনোয়ারের অত্যাচারে একাধিক পরিবার হামলা মারপিট ও হয়রানিমূলক মামলায় শিকার করে অশান্ত করে তুলেছে গোটা গ্রামকে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বরকেও জড়িয়েছে হয়রানিমূলক মামলায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোরশেদা আকতার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান জালাল আহমেদ লাল বলেন, চিহ্নিত অপরাধীরা যুবলীগ নেতাসহ ৩ জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। তাদের অবস্থা আশংকাজনক। একই দুর্বৃত্তদের অত্যাচারে ইতোমধ্যে একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ ৩টি পরিবার গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে।
এ বিষয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সুফল বলেন, মারপিটের ঘটানায় মামলা দায়ের হয়েছে। প্রধান আসামি আনোয়ারসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিছু ধারল অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে বসতঘর ভাঙচুরের বিষয়ে কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।