বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নিবন্ধনকৃত কার্ডধারী সুবিধাভোগী জেলেদের তালিকা বৃদ্ধির দাবি। ৩ হাজার পরিবার পাচ্ছেন ভিজিএফ চাল। সর্বত্রই চলছে বিতরণ।
বুধবার সকালে নিশানবাড়িয়ায় ১৭৫ ও খাউলিয়া ইউনিয়নে ৪২৫ জেলে পরিবারের মাঝে দুই মাসের জনপ্রতি ৮০ কেজি করে ভিজিএফ চাল আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণ করেন নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু, খাউলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমঙ্গীর হোসেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সচিব দেবাশিষ মল্লিক, শেখ সরিফুদৌল্লা, সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসারের প্রতিনিধি শিক্ষক আলমঙ্গীর হোসেন শিকদার, মাহফুজুর রহমান, ইউনিয়ন মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন, লুৎফর রহমান, বাকির হোসেন লুৎফর, মো. মিলন শেখ, নাসির উদ্দিন, মো. কামরুজ্জামান, মিলন মীর, মহিদুল ইসলাম, আব্দুল মালেক, শাহানাজ বেগম, পারভীন বেগম প্রমুখ।
এ সময় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু, ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিকল্পনা অনুযায়ী সামাজিক বেষ্টনি প্রকল্পের আওতায় খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন জেলে পরিবার। প্রাণঘাতি করোনা মুর্হুতে এ চাল পেয়ে মৎস্যজীবী পরিবার অনেক খুশি। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-এর জন্য দোয়া করেন। এদিকে স্থানীয় জেলেরা দাবি করছেন এ উপজেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছে প্রায় ৯ হাজার। জাটকা আহরণ থেকে বিরত থাকা সুবিধাভোগী জেলের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ও মা ইলিশ আহরণ থেকে বিরত থাকা ৬৫দিন সুবিধাভোগী ৩ হাজার। নিবন্ধনকৃত সকল জেলেদের সুবিধার আওতায় এনে তালিকা বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জোর দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, এক সপ্তাহ ধরে এ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে ২ হাজার ৮৬৪ জন মৎস্যজীবী সুবিধাভোগীদের মাঝে ১১৪. ৫শ’ ৬০ মেট্রিকটন ভিজিএফ চাল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। তবে তালিকা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে যারা মৃত্যুবরণ ও এ পেশার নতুন এসেছে তাদেরকে সঠিক যাচাই-বছাই করে তালিকা নিরুপন করার পরিকল্পনা রয়েছে।